আন্তর্জাতিক অভিষেকের এক সপ্তাহও পেরোয়নি, তানজিম হাসান সাকিব এরই মাঝে পড়ে গেছেন তীব্র সমালোচনার মুখে; তাও আবার মাঠের বাইরের কাজ দিয়ে। ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপে ম্যাচ জিতিয়ে রাতারাতি নায়ক হয়ে গিয়েছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। কিন্তু সেই ম্যাচের একদিন পরেই যুব বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে।
মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা তানজিম সাকিবের কিছু পোস্ট নিয়ে সমালোচনার সূত্রপাত। তরুণ উদীয়মান তারকার সেসব পোস্ট নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভক্ত সমর্থকরা। অনেকেই তরুণ এই ক্রিকেটারের সমালোচনা করলেও অনেকে সমর্থন দিচ্ছেন তাকে।
সাকিবের এই পোস্ট ইস্যু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠলেও গত দুইদিন ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’ তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়টা নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমরা ওর সঙ্গে কথা বলছি। কথা বলে নিই, তারপর জানাবো। ওর একটা ভুল হয়েছে, আমরা সেই বিষয়টা ওর কাছ থেকেই জানতে চাচ্ছি।
তানজিম সাকিবের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে থাকা ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বরের একটি লেখা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সে পোস্টে লেখা ছিল, ‘স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার ধ্বংস হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পর্দা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়। স্ত্রীকে যেই স্বামী বলে- আমার স্ত্রীর চাকরি করার দরকার নেই। আমি যা পাই তোমাকে খাওয়াব, সে তাকে রাজরানি করে রাখবেন। এখন সে রাজরানি না হয়ে কর্মচারী হতে চায়।’
তানজিম সাকিবের ফেসবুক পোস্টে আরও লেখা ছিল, `আসলে স্ত্রী স্বামীর মর্যাদা বোঝেনি, স্ত্রী নিজের মর্যাদাও বোঝেনি। ঘর একটি জগৎ। অসংখ্য কাজ রয়েছে। আজ ছেলেদের বেকারত্বের বড় কারণ হচ্ছে- মেয়েরা এগিয়ে আসছে, ছেলেরা কোনো চাকরি পাচ্ছে না। একটি ছেলেকে চাকরি দিলে পুরো পরিবারের উপকার হয়।` পোস্টের শেষে বলা হয়েছিল, ‘(অতএব মা-বোনেরা নিজের আত্মমর্যাদা রক্ষার্থে স্বামীর আনুগত্য ও বাসায় অবস্থান করে রানির হালাতে অবস্থান করুন। অতএব মা-বোনেরা দুনিয়া কামাতে যেয়ে আখেরাত না হারিয়ে ঘরে অবস্থান করে স্বামী-সন্তানের খেদমত করে দুনিয়া ও আখেরাত দুটিই কামাই করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।’
এছাড়া পোস্টের শেষে একটি মাইক্রোফোনের ইমোটিকনসহ ‘শায়খ আবু বকর মুহাম্মাদ জাকারিয়া (হাফিযাহুল্লাহ)’ নামটি লেখা ছিল। তবে তানজিম সাকিবের সেই পোস্ট এই মুহূর্তে ফেসবুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :