ম্যাচের একেবারে শেষে ইনজুরি টাইমে বেলিংহ্যামের গোলে মানরক্ষা করল রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল যখন গোল পায় না, তখন যেন বেলিংহ্যাম বারবার ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এটা যেন একটা নিয়ম হয়ে উঠেছে।
সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে গোল করেছেন ৮১ মিনিটে, হেতাফের বিপক্ষে ৯৫ মিনিটে এবং ইউনিয়ন বার্লিনের বিপক্ষে গোল করলেন ম্যাচ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে। ম্যাচের বয়স তখন ৯৪ মিনিট। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি হয়ে নামা ভালভার্দের শট বক্সে জটলার মধ্যে ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগেছিল। আর সেই বল ঠেকাতে ডাইভ দিয়েছিলেন ইউনিয়ন বার্লিনের গোলকিপার ফ্রেদেরিক রোনো। এই সুযোগে ফাঁকা পোস্টে গোল করেন বেলিংহ্যাম। এর আগে রিয়ালের হয়ে লা লিগা অভিষেকে গোল পেয়েছিলেন, এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও বাদ গেলেন না। তবে ঘরের মাঠে অনামী দল ইউনিয়ন বার্লিনের বিরুদ্ধে গোল করতে সংযোজিত সময়ের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নদের।
ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনও দলই গোলের খুব বেশি সুযোগ পায়নি। ম্যাচের শুরুতে হোসেলুর হেড অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। এর পর আর কোনও সুযোগ পায়নি রিয়াল মাদ্রিদ। ইউনিয়ন বার্লিন উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ছবিটা বদলে যায়। ঘরের মাঠে জয়ের লক্ষ্যে আক্রমণে ঝাঁপায় রিয়াল মাদ্রিদ। রডরিগো এবং হোসেলুর চেষ্টা বারে লেগে ফিরে আসে। সেই সময় মনে হচ্ছিল ঘরের মাঠে হয়তো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সফলতম ক্লাবকে পয়েন্ট নষ্ট করতে হবে। তবে সংযোজিত সময়ের চতুর্থ মিনিটে গোল করে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩ পয়েন্ট এনে দেন বেলিংহ্যাম। এই ম্যাচে ইউনিয়ন বার্লিনের গোল লক্ষ্য করে ৩২টি শট নেন রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবলাররা। তার মধ্যে শেষ শটে গোল করতে সমর্থ হন বেলিংহ্যাম। ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদেরই দাপট ছিল। কিন্তু অনেক সুযোগ পেলেও, কিছুতেই গোল হচ্ছিল না। ভাগ্যও রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গ দিচ্ছিল না। শেষমুহূর্তে গোল না হলে ২ পয়েন্ট নষ্ট করতে হত স্পেনের ক্লাবটিকে।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :