এশিয়ান গেমস ২০২৩-এ নেপালের যাত্রা শেষ হয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে হেরে শেষ তাদের বিদায় নিতে হয়েছে। কিন্তু, ভারতের বিরুদ্ধে এই সহযোগী দল যেভাবে ব্যাটিং করেছে তা সবার মন জয় করেছে।
ভারত বনাম নেপাল কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ভারতীয় অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। যশস্বী জসওয়ালের (১০০) সেঞ্চুরি এবং শিবম দুবে (২৫) ও রিঙ্কু সিং (৩৭) এর ঝড়ো ইনিংসের ভিত্তিতে ভারত নেপালের সামনে ২০৩ রানের লক্ষ্য নির্ধারণে সফল হয়। এই স্কোরের বিপরীতে নেপালের দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান তুলতে সক্ষম হয় এবং শেষ পর্যন্ত লড়াই করে নেপালকে ২৩ রানে পরাজয় বরণ করতে হয়।
সহযোগী দল হিসেবে, একটি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ইনিংসে পূর্ণকালীন সদস্য দলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড গড়েছে নেপাল। এই ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে নেপাল মোট ১৪টি ছক্কা মেরেছে। এই সময়ের মধ্যে, তারা নেদারল্যান্ডসের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ডাচরা ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৩টি ছক্কা মেরে এই রেকর্ডটি করেছিল।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতের বিরুদ্ধে ১৭৯ রান করে নেপাল। সহযোগী দলের রান তাড়া করার সময় এটি ভারতের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল হংকংয়ের নামে। তারা ২০২২ সালে ভারতের বিরুদ্ধে ১৫২ রান করেছিল।
টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক সিরিজে কোনও চার না মেরে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড গড়েছেন নেপালের দীপেন্দ্র আইরি। ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসে এখনও পর্যন্ত মোট ১৩টি ছক্কা মেরেছেন দীপেন্দ্র। ভারতের বিরুদ্ধে তিনি ১৫ বলে ৪ ছক্কায় ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। এর আগে মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৮টি ছক্কা মেরে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। মালদ্বীপের বিরুদ্ধে ১টি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি।
ভারত বনাম নেপাল ম্যাচ সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে, টিম ইন্ডিয়া ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করেছে। যশস্বী জসওয়ালের সেঞ্চুরি ছাড়াও অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং শিবম দুবে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন। যেখানে রিঙ্কু সিং ১৫ বলে ৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। জবাবে ১৭৯ রানেই গুটিয়ে যায় নেপালের ইনিংস। ২৩ রানে ম্যাচটি জয়ী হয় ভারত।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :