ভারতীয় ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ সামি কাল প্রথমবারের মত চলতি বিশ্বকাপে খেলতে নেমেই ৫ উইকেট শিকার করেছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফিরে তিনি ম্যাচ সেরার পুরস্কারও লাভ করেছেন। তবে বেঞ্চে বসে ভারতের একের পর এক সাফল্য তাকে ভাল খেলতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে বলে সামি স্বীকার করেছেন।
অল-রাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার ইনজুরির সুবাদে কাল ভারত দুটি পরিবর্তন করে মাঠে নেমেছিল। হার্দিকের অনুপস্থিতিতে ধর্মশালায় কাল সামির ফেরাটা অনেকটা অনুমেয়ই ছিল। বিশ্বকাপে এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মত পাঁচ উইকেট দখলের কৃতিত্ব দেখালেন সামি।
ড্যারিল মিচেলের অনবদ্য সেঞ্চুরির সুবাদে নিউজিল্যান্ড যখন বড় স্কোরের পথে যাচ্ছিল তখনই সামি মিডল ও লোয়ার অর্ডারে ধ্বস নামিয়ে কিউইদের ২৭৩ রানে অল আউটে বাধ্য করেন। মিচেল শেষ পর্যন্ত ১৩০ রানের দারুন এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন। জবাবে ভারত বিরাট কোহলির ৯৫ রানে পাঁচ ম্যাচে শতভাগ জয় নিশ্চিত করে টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে।
সামি জানান, আগের ম্যাচগুলোতে তার কখনই মনে হয়নি তিনি দলের বাইরে আছেন, ‘না খেলাটা সবসময়ই কঠিন। কিন্তু ঐ সময় দল যদি পারফর্ম করে, ছেলেরা যদি ছন্দে থাকে, তখন বাইরে থেকে নিজেকে আর দোষী মনে হয়না। কারন আমিও তখন দলের একটি অংশ হয়েই ছিলাম, বিশ্বকাপে আমিও ছিলাম। আমি মনে করি প্রত্যেকেরই অন্যের সাফল্য উপভোগ করা উচিৎ।’
২০১০ সালে অভিষেক হওয়ার পর ক্যারিয়ারে এ পর্যনআত ৯৫ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন সামি। গত এক দশকে ভারতের সাফল্যে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সম্প্রতি সাদা বলের ফর্মেটে ফাস্ট বোলিং বিভাগে তিনি কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন। ফাস্ট বোলিং অল-রাউন্ডার শার্দুল ঠাকুরকেই আগের তিন জয়ের ম্যাচে জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজের সাথে প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নিয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজওমেন্ট।
কিন্তু ডাগ আউটে ৩৩ বছর বয়সী সামি নিজের অনুপ্রেরণা ঠিকই খুঁজে নিয়েছেন, ‘ব্যক্তিগত ভাবে আমি সবসময়ই প্রতিটি ম্যাচ উপভোগের চেষ্টা করি, সেটা দলের বাইরে থেকে হলেও। কারন ভারতে সবচেয়ে বড় খেলার নাম ক্রিকেট। আর সেই দলের একটি অংশ আমি। মূূল দলে থাকাটা জরুরি নয়। দলে ১৫ জন খেলোয়াড় থাকে, সবাইতো আর প্রতিদিন খেলতে পারবে না। চারজনকে বাইরে থাকতেই হবে। সে কারনে ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখা উচিৎ।’
আগামী রোববার পরবর্তী ম্যাচে ভারত বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। সামি জানিয়েছেন অনুশীলনই একটি দলকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়, ‘যখন কোন দল ধারাবাহিক ম্যাচের মধ্যে থাকে তখন রিকভারি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কোন খেলোয়াড় যখন সাত-আটদিনের জন্য বিশ্রামে থাকে তখন বাইরে সবাই মনে করে ঐ ক্রিকেটার বাদ পড়েছে। আসলে সেটা ঠিক নয়।’
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :