ফুটবল বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা এবং সর্বকালের সেরা ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনার ৬৩তম জন্মদিন আজ। ১৯৬০ সালের এই দিনে আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস প্রদেশের লানুস শহরে জন্মগ্রহণ করেন আর্জেন্টাইন এই জাদুকর। পৃথিবী ছেড়ে তিনি চলে গেছেন প্রায় তিন বছর হলো।
সবর্কালের সেরা ফুটবলাদের মধ্যে ম্যারাডোনার স্থান অনেক ওপরে। কারো কাছে তিনি আবার পরিচিত সাক্ষাত ঈশ্বর হিসেবেও। আবার কারো কাছে তিনি বিদ্রোহী। যেভাবেই ডাকা হোক না কেন, তিনি দিয়েগো ম্যারাডোনা।
আবার কেউ কেউ পেলে, লিওনেল মেসি কিংবা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে সে জায়গার যোগ্য দাবিদার মনে করেন। তবে ভালো-মন্দ যেভাবেই হোক, ফুটবল বিশ্বকে সবসময় বিমোহিত করেছেন একসময়ের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যারাডোনা।
হাসি-আনন্দে ব্যস্ত থাকা এই কিংবদন্তি এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে। পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন তিন বছর হলো। ১৯৬০ সালের এই দিনে আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস প্রদেশের লানুস শহরে জন্মগ্রহণ করেন আর্জেন্টাইন এই জাদুকর। ফুটবল জাদুকর ডিয়েগো ম্যারাডোনার ৬৩তম জন্মদিন আজ।
সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম তিনি। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। অনেকের কাছে তিনি আবার ফুটবল ঈশ্বর, সেরাদের সেরা। যত নামেই ডাকা হোক না কেন, তিনি আর্জেন্টাইন ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা। বল পায়ে দক্ষ নিয়ন্ত্রণ, চিতার বেগে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়াসহ আরও অনেক ঐতিহাসিক মুহূর্ত আর গোল বিশ্বসেরা ফুটবলারের বিতর্কে তাকে রেখেছে বেশ উঁচু স্থানে।
দক্ষিণ প্রান্তের শহর ভিয়া ফিওরিতোতে তার বেড়ে ওঠা। তিন কন্যা সন্তানের পর তিনিই ছিলেন মা-বাবার প্রথম পুত্র সন্তান। তার ছোট দুই ভাই হুগো এবং রাউলও পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়।
মাত্র দুই দশকের পেশাদার ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা খেলেছেন ছয়টি ক্লাবে। ১৬ বছর বয়সে পা দেয়ার ঠিক দশদিন আগে নিজ শহরের ক্লাব আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে অভিষেক ঘটে তার, বর্তমানে যাদের হোম গ্রাউন্ডের নামকরণ হয়েছে ম্যারাডোনারই নামে।
ক্লাব ক্যারিয়ারে বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলিসহ নানা ক্লাবে খেলেছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো নাপোলিকে একক কৃতিত্ব চ্যাম্পিয়ন করা। তিনি ক্লাবটির অধিনায়কত্ব গ্রহণ করে ক্লাবটিকে নিয়ে যান ইতিহাসের সফলতম পর্যায়ে।
১৯৮৬ বিশ্বকাপে তার অসাধারণ নৈপুন্যে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। সেই আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ‘হ্যান্ড অব গড গোল’ ও শতাব্দীর সেরা গোলটি। এরপর ১৯৯০ বিশ্বকাপেও দলকে তুলেছিলেন ফাইনালে। এই আসরে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হন এই ফুটবল কিংবদন্তী। ফলে ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলেও স্বাভাবিক ছন্দে দেখা যায়নি ম্যারাডোনাকে। ২০ বছরের আন্তর্জাতিক ও ক্লাব ক্যারিয়ারে আর্জেন্টাইন এই মহাতারকা মোট গোল করেছেন ৩৪৬টি।
ক্যারিয়ারে কোচিংও করেছেন ম্যারাডোনা। ২০০৮ সালে ছিলেন মেসিদের কোচ। সেবার নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আর্জেন্টিনা নিশ্চিত করে ২০১০ বিশ্বকাপের টিকিট। বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার দল কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে হজম ৪ গোল হজম করে বিদায় নেয়।
২০২০ সালে বুয়েনোস আইরেসের হাসপাতালের আইসোলেশনে থেকে ৬০তম জন্মদিন পালন করেন ‘এল দিয়াগো’। তবে কে জানত, তার এক মাসের মধ্যেই না-ফেরার দেশে পাড়ি জমাবেন বিশ্বকাপজয়ী এ কিংবদন্তি। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মাত্র ৬০ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান দিয়াগো ম্যারাডোনা।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :