AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

অনেক ‘ভাবী’ই ছিলেন গ্যালারিতে, কিন্তু নজরে শুধু সারা!


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৯:০৬ পিএম, ৩ নভেম্বর, ২০২৩
অনেক ‘ভাবী’ই ছিলেন গ্যালারিতে, কিন্তু নজরে শুধু সারা!

ওয়ানডে বিশ্বকাপে বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং শ্রীলঙ্কা। মাঠের পাশাপাশি দর্শকদের নজর ছিল ভিআইপি বক্সের দিকেও। সেখানেই বসে ছিলেন ক্রিকেটারদের স্ত্রী, বান্ধবীরা। তবে সকলের মধ্যে সব থেকে বেশি নজর কেড়েছেন একজনই। তিনি শচিন টেন্ডুলকারের কন্যা সারা টেন্ডুলকার।

বৃহস্পতিবার ওয়াংখেড়ে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। শুরু থেকেই ভারত বুঝিয়ে দেয় যে, এই বিশ্বকাপে তারা বাকিদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। প্রথমে ব্যাট করে ভারত ৩৫৭ রান তোলে। এর মধ্যে শুভমন এবং বিরাট মিলে ১৮৯ রানের জুটি গড়েন। শুভমন করেন ৯২ রান এবং বিরাট করেন ৮৮ রান।

এদিন ম্যাচে বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরির প্রায় দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন শুভমন গিল। কিন্তু না। একটুর জন্য ফসকে যায় সেই বহু প্রতীক্ষিত স্বপ্ন। সেঞ্চুরি হাতছাড়া হল। তবে আক্ষেপ শুভমনের থেকে বেশি হল আর একজনের। চোখেমুখে ফুটে উঠল হতাশা। তিনি সারা। তার পরেই আরও একবার দুয়ে দুয়ে চার করে ফেললেন দর্শকেরা।

বিশ্বকাপে জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি থেকে মাত্র আট রান দূরে ছিলেন শুভমন। তখনই অঘটন। স্ট্যাম্পের পিছনে দাঁড়ানো কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ তুলে দিলেন শুভমন। তার আগে শুভমন ১১টি চার এবং দু’টি ছয় হাঁকিয়েছেন। দর্শকেরা এক প্রকার নিশ্চিত, কিছুক্ষণের মধ্যেই দু’হাত শূন্যে তুলে দাঁড়াবেন তরুণ ব্যাটার। তার মধ্যেই কাটল তাল।

দিলসান মধুশঙ্কার বলে আউট হয়ে যান শুভমন। গ্যালারিতে বসে সারা। অভিব্যক্তিতে আক্ষেপ। মুখের উপর দু’হাত চেপে ধরেন সারা। তারপর উঠে দাঁড়িয়ে তালি দিয়ে ভাল খেলার জন্য শুভমনকে অভিনন্দন জানান।

সারার এই ছবি এখন ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়; সেখানে নানা মুনির নানা মত। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘আমি জানি না এই দুঃখ কীভাবে প্রকাশ করব। তবে সারাদি, আমারও একই হাল।’’

অন্য একজন আবার সোশাল মিডিয়ায় সংশয় প্রকাশ করেন। লেখেন, শুভমন আউট হওয়ায় কি সারা কেঁদে ফেলেছেন?

পরে সারা নিজেই এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট দেন। সেখানে লেখেন, ‘‘ভাল খেলেছ শুভমন গিল।’’ তার একটি ছবিও পোস্ট করেন।

পরে ভারত যখন ফিল্ডিং করতে নামে, তখন ঘটে আর এক কাণ্ড। স্লিপে দাঁড়িয়ে পাশাপাশি ফিল্ডিং করছিলেন কোহলি আর শুভমন। সেই সময় শুভমনের উদ্দেশে দর্শকেরা চিৎকার করতে থাকেন, “হামারি ভাবী কাইসি হো? সারা ভাবী জাইসি হো।” (আমাদের ভাবী কেমন হবে? সারা ভাবীর মতো হবে।) এসময় সময় শুভমনের পাশে এসে দাঁড়ান বিরাট। দর্শকদের উদ্দেশে থামার ইঙ্গিত করেন। তার পর শোনা যায়, শুভমনের নাম ধরে চিৎকার করছেন লোকজন।

এই প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলছেন শুভমন। প্রথম দু’টি ম্যাচে খেলতে পারেননি তার ডেঙ্গুর হওয়ায়। পরের পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে অর্ধশতরান করেছেন।

এ হেন শুভমন আর শচিন-কন্যা সারার সম্পর্ক নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে। এর আগে বহুবার এক সঙ্গে দেখা গেছে দু’জনকে। এমনকি বিদেশেও দেখা গিয়েছিল তাদের। দিন কয়েক আগে ফের সারা-শুভমনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। মনে করা হয় মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে খেলার দিন জিয়ো ওয়ার্ল্ড প্লাজায় গিয়েছিলেন দু’জন। সেখানকারই ভিডিও প্রকাশ্যে আসে।

গত মার্চে আমদাবাদেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফির চতুর্থ টেস্টে ওয়াংখেড়ের মতো কাণ্ড হয়েছিল। সেখানে মাঠে শুভমনকে দেখে সারার নাম ধরে চিৎকার শুরু করেন দর্শকেরা। সমবেত ভাবে বলেন, ‘‘হামারি ভাবী ক্যায়সি হো, সারা ভাবী জাইসি হো।’’

তবে সচিন-কন্যা সারার সঙ্গে সম্পর্কের জল্পনার মাঝেই অন্য এক সারার সঙ্গে নাম জড়ায় শুভমনের। তিনি সারা আলি খান। অভিনেতা সইফ আলি খান এবং অভিনেত্রী অমৃতা সিংহের কন্যা।

দু’এক বার সইফ-কন্যা সারার সঙ্গে শুভমনকে দেখাও যায়। এমনকি এক রেস্তরাঁ থেকে দু’জনকে বের হতে দেখা যায়। তবে মাস কয়েক পর ফের সচিন-কন্যার সঙ্গে নাম জড়ায় শুভমনের।

শুভমন ভক্তেরা সচিন-কন্যাকে ‘ভাবী’ বলে সম্বোধনও করতে শুরু করে দেন। মাঠে শুভমনকে দেখে উড়ে আসতে থাকে সারার নাম।

ওয়াংখেড়ের মাঠে এদিন হাজির ছিলেন কেএল রাহুলের স্ত্রী তথা সুনীল শেঠির কন্যা আথিয়া শেঠু, রোহিত শর্মার স্ত্রী রীতিকা সজদেহ, যুজবেন্দ্র চহল এবং তার স্ত্রী ধনশ্রী।

বিরাটের স্ত্রী অনুষ্কা যদিও মাঠে ছিলেন না। ধারনা করা হচ্ছে, তিনি দ্বিতীয়বার মা হতে চলেছেন। তবে সকলকে ছাপিয়ে নজরে ছিলেন একজনই। তিনি শচিন-কন্যা সারা। বার বার তাকেই তাক করেছে ক্যামেরা। ক্যামেরাকে নিরাশও করেননি তিনি। শুভমনের সাফল্যে লাফিয়ে উঠেছেন আবার ব্যর্থতায় ভেঙে পড়েছেন। তবে কি সব জল্পনাই সত্য হতে চলেছে? সূত্র : আনন্দবাজার

 

একুশে সংবাদ/এসআর

Link copied!