চলমান বিশ্বকাপের ৩৬তম ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে ২৫৩ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ফলে ৩৩ রানে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। এতে চলমান বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে বসল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার (৪ নভেম্বর) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৪৯.৩ ওভারে ২৮৬ রানে অল আউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। লক্ষ্য তাড়ায় ৪৮.১ ওভারে ২৫৩ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। এতে ৩৩ রানের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
ইংল্যান্ডের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান। ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হন বেয়ারস্টো। তার জায়গায় নামা রুটও ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। দুই ব্যাটারকেই আউট করেন মিচেল স্টার্ক।
মাত্র ১৯ রানের মাঝে দুই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন মালান ও বেন স্টোকস। দুজনে গড়েন ৮৪ রানের জুটি। এর মাঝে দারুণ এক হাফ সেঞ্চুরি পূরন করেন মালান। তবে ঠিক ফিফটির পরই ফেরেন তিনি।
ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী জস বাটলার ফেরেন ১ রানে। তবে পঞ্চম উইকেটে স্টোকস-মঈন আলীর ৬৩ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে ইংল্যান্ড। এর মাঝে চলতি বিশ্বকাপে প্রথম ফিফটির দেখা পান বেন স্টোকস।
ম্যাচ যখন ইংল্যান্ড হাতের মুঠোয় নেয়ার অপেক্ষায়, এমন সময় বিদায় নেন স্টোকস। ৬৪ রানে অ্যাডাম জাম্পার শিকার হন তিনি।
দলকে আশার আলো দেখানো মঈনও ফিফটির কাছে গিয়ে ফিরেছেন। জাম্পার শিকার হয়ে ৪২ রানে সাজঘরে ফেরেন এ বাঁ-হাতি ব্যাটার। আর উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ডেভিড উইলি।
শেষ পর্যন্ত অজি বোলারদের চোখে চোখ রাঙিয়ে লড়াই জমিয়ে তোলেন ক্রিস ওকস। তবে শেষ পর্যন্ত পরাস্ত হন তিনিও। স্টয়নিসের বলে লাবুশেনের তালুবন্দী হওয়ার আগে ৩২ রান করেন তিনি। এতে ইংলিশদের ইনিংস থামে ২৫৩ রানে।
এদিন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন অ্যাডাম জাম্পা।
এর আগে আজ টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। ব্যাট হাতে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারের কেউই বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ট্রেভিস হেড ১১ ও ডেভিড ওয়ার্নার ১৫ রান করেন।
এরপর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন স্টিভ স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেন। দুজনে গড়েন ৭৫ রানের জুটি। ফিফটির পথে থাকা স্মিথ ৪৪ রানে আউট হন। এই ব্যাটারের পর জশ ইংলিশকেও ফেরান আদিল রশিদ। এ অবস্থায় চার রানের মাঝে দুই উইকেট হারায় দলটি।
পঞ্চম উইকেটে ৬১ রান যোগ করেন লাবুশেন ও ক্যামেরন গ্রিন। সাজঘরে ফেরার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রান করে লাবুশেন। তার বিদায়ের পর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
দলের বাকি ব্যাটারদের মাঝে গ্রিন ৪৭, মার্কাস স্টয়নিস ৩৫ রান করেন। শেষদিকে অ্যাডাম জাম্পার ২৯ রানের ক্যামিওতে অজিদের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ নিশ্চিত হয়। ইংল্যান্ডের হয়ে ওকস চারটি এবং উড ও রশিদ দুটি করে উইকেট নেন।
একুশে সংবাদ/আ.আ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :