শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শচীন টেন্ডুলকারের ঘরের মাঠ মুম্বাইতেই সুযোগ ছিল বিরাট কোহলির সামনে। কিন্তু সেই ম্যাচে মাত্র ১২ রানের জন্য শতক হাতছাড়া করেন কোহলি। শচীনের রেকর্ডে ভাগ বসাতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি তাকে। রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ৪৯তম শতক হাঁকিয়ে ছুঁয়ে ফেলেন শচীনের রেকর্ড। বর্তমানে ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান কোহলি ও শচীন।
শচীনের পাশে দাঁড়িয়েই ২০১১ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন কোহলি। পেয়েছেন ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের স্বাদ।সময়ের সঙ্গে কোহলি নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন অন্য এক উচ্চতায়। আর নিজের ৩৫তম জন্মদিনে তো নিজেকে ক্রিকেট ইতিহাসেরই অংশ করে ফেললেন তিনি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে ওয়ানডে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮ সেঞ্চুরির মালিক হয়েছিলেন এ ব্যাটার।
এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ আর শ্রীলংকার বিপক্ষে ৮৮ রান কোহলির অপেক্ষার প্রহর বাড়িয়েছে কেবল। কিন্তু সেই অপেক্ষা হয়তো ভাল কিছুই জন্যই। নয়তো নিজের জন্মদিনে ওয়ানডে ক্রিকেটে শচীনের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির (৪৯) রেকর্ডে ভাগ বসানো, এমন কৃতিত্বটাই বা কম কী?
রোববার বিশ্বকাপের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের ৪৯তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন কোহলি। এই ইনিংস তাকে নিয়ে গিয়েছে শচীন টেন্ডুলকারের পাশে। সবমিলিয়ে এটি তার ৪৯তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে শুরু থেকেই সাবধানী ইনিংস খেলেছেন কোহলি। আগের দুইবার নিজেকে শেষ সময়ে ধরে রাখতে পারেননি তিনি। এবার আর সেই ভুল করেননি। অনেকটা সময় নিয়ে নিজেকে সামাল দিয়েছেন। সেঞ্চুরিও এসেছে অনেকটা সময় পর। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে তিনি খেলেছেন ১১৯ বল।
ইনিংসে লুঙ্গি এনগিডি আর কাগিসো রাবাদা বারবার ইয়র্কার কিংবা তাবরাইজ শামসির একের পর এক ওয়াইডেও মনোঃসংযোগে বিঘ্ন ঘটেনি কোহলির। নিজেকে ধরে রেখেছেন। শেষ পর্যন্ত ইডেনের বিশাল নীলের সমুদ্রে নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন অনন্য এক উচ্চতায়।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :