ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ু দূষণ এমন মাত্রায় পৌছেছে যে, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা রোববারের আগে পূর্ণাঙ্গ অনুশীলনই করতে পারেনি। বাতাসের মান নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও এ নিয়েই বেশি আলোচনা হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে ম্যাচ আয়োজন করা ঠিক হবে কিনা, এ প্রসঙ্গে বল আইসিসির হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। তাই আজ দিল্লিতে বাংলাদেশের ম্যাচটি হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত ম্যাচের আগেই নেবেন অফিশিয়ালরা।
আইসিসির প্রটোকল অনুযায়ী ম্যাচ চাইলে প্রথমে বাতিল করে দিতে পারবেন ম্যাচের আম্পায়ার ও রেফারি। আবার চাইলে বৃষ্টি বা আলোকস্বল্পতার ক্ষেত্রে যেমন করা হয়, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ম্যাচের দিন পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ একিউআই-এর লেভেল কমার জন্য অপেক্ষা করে ম্যাচ আয়োজনের কোনো চেষ্টা করা হবে না।
জানা গেছে, আজ দিল্লিতে সকালে একিউআই ছিল ৪৮২। আইসিসির আইন অনুযায়ী, একিউআই ২০০-এর নিচে থাকলে তা নিরাপদ ধরা হয়। এর মানে এই না যে ২০০ এর বেশি হলেই ম্যাচ বাতিল করা হয়।
এখন পর্যন্ত বাতাসের মানের জন্য কোনো ম্যাচ বাতিল হয়নি। ২০১৭ সালে দিল্লি টেস্টে শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়রা অসুস্থ হওয়ায় বিরতি দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের কয়েকজন ক্রিকেটার মাস্ক পরে নামলেও ম্যাচে কোনো বিরতি দেওয়া হয়নি।
তাই আজ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ শুরুতেই বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বাতাসের মানের ওপর নির্ভর করে অন্তত ২০ ওভারের ইনিংসের ম্যাচ খেলানোর চেষ্টা হবে। কিন্তু যদি সেটাও করা সম্ভব না হয়, তখন কী হবে?
টুর্নামেন্টের আইন অনুযায়ী তখন পয়েন্ট ভাগাভাগি করবে দুইদল। অর্থাৎ, ৮ ম্যাচ শেষে তখন বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ৩, শ্রীলঙ্কার ৫। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্ষতিই হবে।
কারণ, আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে থাকতে হলে বাংলাদেশকে শীর্ষ আট দলে থাকতে হবে। এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পয়েন্ট পাওয়া ইংল্যান্ড, আর ৪ পয়েন্ট পাওয়া দুই দল শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডস।
আজ যদি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় না পায়, তাহলে পয়েন্টে লঙ্কানদের পেছনে ফেলার সম্ভাবনা শেষ বাংলাদেশের। আর রানরেটের দিক থেকে শ্রীলঙ্কা এতটাই এগিয়ে আছে যে, তখন শেষ ম্যাচে শুধু অস্ট্রেলিয়াকে হারালেই চলবে না বাংলাদেশের; শ্রীলঙ্কাও যেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অনেক বড় ব্যবধানে হারে, সে আশায় থাকতে হবে।
ওদিকে আজ যদি ম্যাচ বাতিল হয় এবং নেদারল্যান্ডস-ইংল্যান্ড ম্যাচে নেদারল্যান্ডস জয় পায়, তখন নেদারল্যান্ডসের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে। আর ইংল্যান্ড জিতলে তখন আবার ইংল্যান্ড পয়েন্ট বাংলাদেশকে টপকে যাবে। তবে নেদারল্যান্ডসের সব আশা শেষ হয়ে যাবে, কারণ, ডাচদের শেষ ম্যাচ দুর্দান্ত দাপটে থাকা ভারতের বিপক্ষে। ওদিকে ইংল্যান্ডের ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে, ম্যাচটি কলকাতায় বলে স্পিন আক্রমণ বিবেচনায় ইংল্যান্ড কিছুটা হলেও বাড়তি সুবিধার আশা করবে।
আজ তাই ম্যাচ বাতিল না হলেই খুশি হবে বাংলাদেশ, কারণ বর্তমান ফর্মে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর আশাই বেশি সাকিবদের।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :