আগামী বছর সাফের সিনিয়র-জুনিয়র মিলিয়ে পাঁচটি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকষর্ণীয় সিনিয়র নারী চ্যাম্পিয়শিপ। আগামী বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য এই টুর্নামেন্টের স্বাগতিক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ,নেপাল ও ভুটান।
সিনিয়র নারী চ্যাম্পিয়নশীপের মতো বালক অ-২০ টুর্নামেন্টেও স্বাগতিক হতে চায় নেপাল ও ভুটান। তাদের সঙ্গে আগ্রহী শ্রীলঙ্কা। সিনিয়র নারী সাফে বাংলাদেশ সহ আরো দুই দেশ চাইলেও অ-১৯ শুধু বাংলাদেশই স্বাগতিক হতে চেয়েছে। ফলে সাফ অ-১৯ এর স্বাগতিক হওয়া বাংলাদেশের জন্য এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
নারী অ-১৬ এবং বালক অ-১৭ এই টুর্নামেন্টে স্বাগতিক হওয়ার আগ্রহ কেউ দেখায়নি। চলতি বছরেই আগামী বছরের সূচি পূর্ণাঙ্গভাবে ঠিক করতে চায় সাফ সচিবালয়। বিষয়ট জানিয়েছেন সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল।
ভেন্যু নির্ধারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কোনো টুর্নামেন্টে আমরা একাধিক আগ্রহী পেয়েছি আবার কিছুতে পাইনি। টুর্নামেন্ট ও ভেন্যু এন্ট্রি নিয়ে কম্পিটিশন কমিটির সভা হবে। কম্পিটিশন কমিটির সিদ্ধান্ত সুপারিশ আকারে নির্বাহী সভায় উঠবে। এরপরই মূলত চূড়ান্ত হবে কোন টুর্নামেন্ট কোথায় হবে।’
বাংলাদেশের প্রধান আন্তর্জাতিক ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। এখনো সেই ভেন্যু সংস্কার থাকায় কমলাপুরই ভরসা বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের, ‘ফেব্রুয়ারিতে অনুর্ধ্ব ১৯ টুর্নামেন্টটি কমলাপুরই করতে চাই। অক্টোবরের আগে স্টেডিয়াম ঠিক হলে বঙ্গবন্ধুতে না হলে সেটিও কমলাপুরে। ’
৩১ অক্টোবর ছিল আগামী বছর সাফ টুর্নামেন্টগুলোতে অংশগ্রহণ ও স্বাগতিক হওয়ার এন্ট্রি প্রদানের শেষ দিন। বাংলাদেশ পাঁচটি আসরেই অংশগ্রহণের এন্ট্রি দিয়েছে। শ্রীলঙ্কা নারী দুই জুনিয়র টুর্নামেন্টে এন্ট্রি দেয়নি।
দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি ফুটবল ফেডারেশন অভ্যন্তরীণ সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান সাফের কাছে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছিল। গতকাল বর্ধিত সময় পেরিয়ে গেলেও পাকিস্তান তাদের এন্ট্রি দেয়নি। মালদ্বীপের কাছ থেকে কোনো উত্তরই পাচ্ছে না সাফ।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :