শেষ ওভারে দরকার পাঁচ রান, হাতে ছিল ৬ উইকেট। এমন ম্যাচ তো চোখ বন্ধ করে যেতাই যায়। কিন্তু ক্রিকেট একটি কথা প্রচলিত আছে, ‘গোল বলের বিশ্বাস নাই।’ ঠিক তেমনটাই হলো। ছয় বলে ছয় উইকেট তুলে দলকে জিতিয়ে দিলেন বোলার।
গত শনিবার (১১ নভেম্বর) গোল্ড কোস্টের ক্যারারা কমিউনিটি সেন্টারে প্রিমিয়ার লিগ ডিভিশন -৩ এর ম্যাচে ঘটেছে ই অবিশ্বাস্য ঘটনা। সারফার্স প্যারাডাইসের বিপক্ষে মুদগ্রিবা নেরাং অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট ক্লাবের বোলার মরগান শেষ ওভারে ৬ বলে ৬ উইকেট শিকার করে দলকে জয় এনে দেন। ৪০ ওভারের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে মুদগ্রিবা ১৭৮ রান করে। এই রান তাড়া করতে নেমে ৩৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান তুলে ফেলেছিল সারফার্স। শেষ ওভারে বল হাতে নিয়ে মুদগ্রিবার অধিনায়ক মরগান প্রতিপক্ষের অবশিষ্ট উইকেট কয়টি তুলে নেন।
শেষ ওভারে বল হাতে নেওয়া প্রসঙ্গে মরগান এবিসিকে জানান, হার নিশ্চিত জেনে কোনো তরুণ বোলারকে জয়সূচক রান হজম করতে ব্যাটারদের সামনে পাঠাননি, বরং নিজেই বল হাতে তুলে নিয়েছেন।
সে ওভারের প্রথম বলেই মরগান ফেরান ৬০ বলে ৬৫ রান করা জ্যাক গারল্যান্ডকে। উইকেট পান পরের দুই বলেও। মরগান জানিয়েছেন, হ্যাটট্রিক পূর্ণ হওয়ার পর তার মনে হতে থাকে ম্যাচটা তার দল জিততেও পারে।
গোল্ড কোস্ট বুলেটিনকে মরগান বলেন, চতুর্থ বলে একজন আউট হওয়ার পর সবাই আনন্দে লাফাতে শুরু করে। আমি মনে করিয়ে দেই,একটা বাউন্ডারি হলেই আমরা হেরে যেতে পারি।` অবশ্য শেষ দুই বলে প্রতিপক্ষের দুজনকে বোল্ড করেন মরগান।
তবে এমন ঘটনা মরগান এবারই প্রথম ঘটাননি বলে জানিয়েছেন তার বাবা হাউ। ক্লাবের ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মন্তব্যে তিনি লিখেছেন, `গ্যারেথ (মরগান) তোমাদের বলবে না। সে একবার ওভারে পাঁচ উইকেট নিয়েছিল। ৬ উইকেট নিতে পারেনি, কারণ প্রতিপক্ষ দলের পাঁচজনই বাকি ছিলেন সেদিন।`
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক ওভারে ৬ উইকেট শিকারের ঘটনা নেই,। এমনকি পেশাদার ক্রিকেটেও এমন ঘটনা কখনোই ঘটেনি। তবে ৬ বলে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড আছে তিনটি। তিনটিই অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটে।
২০১১ সালে নিউজিল্যান্ডের নিল ওয়াগনার ওটাগোর হয়ে ওয়েলিংটনের বিপক্ষে, ২০১৩ সালে বাংলাদেশের আল আমিন হোসেন বিজয় দিবস কাপে ইউসিবি-বিসিবি একাদশের হয়ে আবাহনীর বিপক্ষে। তৃতীয় ঘটনাটি ২০১৯ সালদে ভারতের সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে। হরিয়ানার অভিমন্যু মিটুন কর্নাটকের বিপক্ষে ৬ বলে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :