প্রতি ম্যাচেই শুরুটা ভালো করলেও সেই ইনিংস বড় করতে পারছেন না ভারত অধিনায়ক। ফাইনালেও যার কোনও ব্যতিক্রম হল না। বরং দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে রোহিতকে ফিরিয়ে দিলেন হেড।
ম্যাক্সওয়েলের বলে স্টেপ আউট করে ছক্কা মারার চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই। ব্যাটে বলে ঠিক ভাবে সংযোগ না হওয়ায় বল উঠে যায়। এবং হেডের হাতে ক্যাচটি চলে যায়। তবে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন অজি তারকা। শেষ পর্যন্ত বলের উপর নজর রাখেন তিনি। তারপরে ডাইভ মেরে ক্যাচটি ধরে নেন হেড। পরপর উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে ভারত।
এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন প্যাট কামিন্স। ভারতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করার চেষ্টা করেন। রোহিত এবং গিল দুর্দান্ত ইনিংস খেলতে থাকেন। কিন্তু এদিন গিলও ব্যাট হাতে সফল হননি। মাত্র ৪ রান করতে সক্ষম হন এই তরুণ। প্রথম উইকেট হারানোয় চাপে পড়ে যায় ভারত। বিরাট নামতে ফের রানের গতি ফিরে পায় টিম ইন্ডিয়া। দুর্দান্ত খেলতে থাকেন রোহিতও। বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারিতে জমে ওঠে ম্যাচ। বিরাটও চালিয়ে খেলতে থাকেন।
কিন্তু তখনই ৯.৪ ওভারের মাথায় ক্যাচ তুলে দেন তিনি। সেই ওভারেই একটি বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারি মারেন হিটম্যান। তারপরেই ফের একটা ছক্কা মারতে যান তিনি। কিন্তু ঠিক ঠাক ভাবে ব্যাটে বল না লাগায় ক্যাচ উঠে যায়। দৌড়ে গিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন হেড। মাত্র ৩১ বলে ৪৭ রান করে ফিরে যান রোহিত। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। শুধু এই ম্যাচেই নয়, এর আগে তিনি অর্ধশতরানের কাছে এসে ফিরে গিয়েছেন। রোহিতের এমন পারফরম্য়ান্সে অনেকেই অবাক হয়েছেন। তবে হেডের ক্যাচ এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ক্যাচগুলির মধ্যে অবশ্যই জায়গা করে নেবে।
শুধু রোহিত নন, ঠিক পরের ওভারেই ফের ধাক্কা খায় টিম ইন্ডিয়া। ব্যাট করতে নেমে একটি বাউন্ডারি মারার পরই ড্রেসিংরুমে ফিরতে হল শ্রেয়স আইয়ারকে। প্যাট কামিন্সের বলে ফিরে যান ভারতীয় দলের এই ব্যাটার। যিনি বেশ ফর্মে রয়েছেন। করছেন শতরানও। শ্রেয়সের এমন আউটে অবাক ক্রিকেট মহল। ফাইনালের মতো ম্যাচে মাত্র ৮১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপেই রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। বড় রান করতে হলে শুধু বিরাট নয়, রাহুল এবং সূর্যকুমার যাদবকেও বড় রান করতে হবে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :