২০২৩ বিশ্বকাপে রীতিমতো আকাশে উড়ছিল ভারত। টানা ১০ ম্যাচে দোর্দণ্ড প্রতাপে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল রোহিত অ্যান্ড কোং। সেই তারাই ফাইনালে হেরে গেলো বড্ড বাজেভাবে। মোদ্দা কথায়, তাদের মাটিতে নামালো অস্ট্রেলিয়া। ষষ্ঠ শিরোপার মিশনে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে তারা।
আহমেদাবাদের আইকনিক নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অজিদের কাছে স্রেফ উড়ে গেছে টিম ইন্ডিয়া। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং-কোনও বিভাগেই প্যাট কামিন্স বাহিনীর সঙ্গে পেরে উঠেনি তারা। এজন্য মূলত ৫ ক্রিকেটারকে দায়ী করা হচ্ছে। ভারতীয় শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের চোখে তারা হলেন-
রোহিত শর্মা
ব্যাটিংটা মোটামুটি ভালো করেছেন রোহিত। কিন্তু একাদশ নির্বাচনে বড় ভুল করেছেন তিনি। মন্থর উইকেট রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে খেলাননি হিটম্যান। এখানে স্পিনাররা সুবিধা পাচ্ছেন। ফলে অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ব্যাটারদের সামনে ভালো বিকল্প হতে পারতেন অশ্বিন। তিনি না থাকায় বিকল্প কম পেয়েছে ভারত। আবার ৪৭ রান করে আউট হয়েছেন রোহিত। আরেকটু ধরে খেলতে পারতেন তিনি। সর্বোপরি যে শট খেলে আউট হয়েছেন তা তার মতো ব্যাটারের কাছে বেমানান।
শ্রেয়াস আইয়ার
একপর্যায়ে দ্রুত ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ব্যাট করতে আসেন শ্রেয়াস। সেসময় তার উচিত ছিল বিরাট কোহলির সঙ্গে জোট বাঁধা। কিন্তু মাত্র ৪ রানে আউট হন তিনি। তার আউটে বড় ধাক্কা খায় ভারত। আগের ২ ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানোয় ফাইনালি লড়াইয়ে শ্রেয়াসের কাছে বড় প্রত্যাশা ছিল।
লোকেশ রাহুল
এদিন ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেছেন রাহুল। কিন্তু সেজন্য ১০৭ বল খেলেছেন তিনি। পথিমধ্যে মেরেছেন মাত্র ১ চার। ভারতীয় ব্যাটিং ইনিংসের মাঝপথে তার জন্যই রানের গতি থমকে যায়। ধীরে শুরু করলেও রাহুলের উচিত ছিল পরে বিস্ফোরণ ঘটানো। তবে সেটা করতে পারেননি তিনি।
সূর্যকুমার যাদব
শেষদিকে সূর্যের ওপর নির্ভর করেছিল ভারত। কিন্তু আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। টেলএন্ডারদের সঙ্গে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হতো তাকে। কিন্তু তার মধ্যে সেই ছিঁটেফোটা দেখা যায়নি। সর্বোপরি, নিজেও রান করতে পারেননি। সব ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ভেবে খেললে হয় না। সেটা বুঝতে হতো সূর্যকে। দলীয় রান কম হওয়ার নেপথ্যে রয়েছেন তিনি।
মোহাম্মদ সিরাজ
আগের সবক’টি ম্যাচে নতুন বলে বল করেছেন সিরাজ। কিন্তু সেসব ম্যাচে বড় রান করেছিল ভারত। ফলে সিরাজ রান বেশি দিলেও ততটা সমস্যা হয়নি। কিন্তু ফাইনালে লো-স্কোর হওয়ায় তাকে নতুন বল দিতে পারেননি রোহিত। তার পরিবর্তে মোহাম্মদ শামিকে দিয়েছেন তিনি। এতে পেস অ্যাটাক এলোমেলো হয়ে গেছে। আগের সব ম্যাচে পুরোনো বলে ভালো করেছিলেন শামি। তবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তা দেখা যায়নি। পরের দিকে এসে উইকেট শিকার করতে পারেননি সিরাজও। তাতে বড় সমস্যায় পড়ে মেন ইন ব্লুরা।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :