বুধবার ভোর সাড়ে ৬টায় বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ব্রাজিলের ঘরের মাঠ বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দী আর্জেন্টিনা।দুই বছর আগে মারাকানাতেই ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। আবার ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে শেষ মুহূর্তের গোলে হার নিশ্চয়ই এখনো ভুলতে পারেনি আলবিসেলেস্তেরা।
ঠিক যেভাবে এক সময়ের ক্লাব সতীর্থকে ভুলতে পারেননি মারকুইনহোস। ব্রাজিলের পরিকল্পনার বড় অংশ জুড়ে লিওনেল মেসি তা বলতে দ্বিধা নেই পিএসজি তারকার।ব্রাজিল ডিফেন্ডার মারকুইনহোস বলেন, ‘মেসি একজন জিনিয়াস। বন্ধু ও সতীর্থ হিসেবে তার সঙ্গ বেশ উপভোগ করেছি। এই বয়সেও সে অসাধারণ। আমাদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আমরা জানি আর্জেন্টিনা ওকে কেন্দ্র করেই আক্রমণ করবে।’
তবে আর্জেন্টিনা দূর্গে আক্রমণ করবে কে? নেইমার ইনজুরির কারণে আগেই বাদ। ছিটকে গেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও। রদ্রিগো, রাফিনহার সঙ্গে গ্যাব্রিয়েল মাতিনেল্লি ও গ্যাব্রিয়েল জেসুসের ওপরও আস্থা রাখছেন কোচ ফার্নান্দো দিনিজ। শেষ ম্যাচে কলম্বিয়ার কাছে হারের পর বেশ চাপে আছেন সেলেসাও মাস্টারমাইন্ড।
বিশ্বকাপ জয়ের পর হারের মুখ দেখেছে আর্জেন্টিনাও। টানা ১৪ ম্যাচ জয়ের পর প্রথম হার। উরুগুয়ের কাছে হারের পর ব্রাজিল ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে চায় স্কালোনির দল। সেজন্য নিকো গঞ্জালেসের পরিবর্তে অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার ওপর আস্থা রাখছেন আর্জেন্টাইন কোচ। তবে লাউতারো মার্টিনেজের অফ ফর্মও চিন্তার কারণ আলবিসেলেস্তেদের। ১৪ মাস ধরে জাতীয় দলের হয়ে কোন গোল নেই এ স্ট্রাইকারের।
আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেন, আমি পরিসংখ্যানে বিশ্বাস করি না। সে ক্লাবের হয়ে গোল করছে। আলভারেজও স্কোর করছে। আমি মার্টিনেজকে নিয়ে মোটেও চিন্তিত নই। সে দারুন ছন্দে আছে।এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট কম নিয়ে পাঁচ নম্বরে ব্রাজিল।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :