দক্ষিণ আফ্রিকার সাদা বলের কোচ রব ওয়াল্টার জানিয়েছেন, উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কুইন্টন ডি কক ২০২৩ বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন কিন্তু তিনি তাঁকে সেই সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকতে বলেছিলেন। ডি`কক বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছেন এবং টি-টোয়েন্টিতে নির্বাচনের জন্য উপলব্ধ থাকবেন। তিনি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার সীমিত ওভারের দলের কোচ রব ওয়াল্টার সম্প্রতি কুইন্টন ডি’কককে নিয়ে বড় কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে কুইন্টন ডি’কক ওডিআইয়ের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে তাঁকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। কুইন্টন ডি’কক বিশ্বকাপ ২০২৩ শুরু হওয়ার আগেই ৫০ ওভারের ফর্ম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন যে ওয়ানডে ফর্ম্যাটে এটিই তার শেষ টুর্নামেন্ট হতে চলেছে। বলে রাখি, টেস্ট ক্রিকেট থেকে ইতিমধ্যেই অবসর নিয়েছেন ডি’কক।
সোমবার ভারতের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি, ওডিআই এবং টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা করার সময়, রব ওয়াল্টার সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে কুইন্টন ডি’কক প্রথমে সমস্ত ফর্ম্যাট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁকে তা করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।
টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলার পর এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শুধুমাত্র ওয়ানডে ফর্ম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা করেন। রব ওয়াল্টার বলেন, ‘বিশ্বকাপের পর অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তের সময় যখন আমরা কুইনির সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তখন তার মূল পরিকল্পনা ছিল সব ফর্ম্যাট থেকে অবসর নেওয়া। তারপর আমি তাঁকে এই কাজটা করতে না করলাম। তিনি বিগ ব্যাশ লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন যা ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তারিখের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল। তাদের একসঙ্গে রাখতেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আমরা আপনাকে বলি, কুইন্টন ডি’কক ৩০ বছর বয়সে দুটি ফর্ম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন এবং তিনি টি-টোয়েন্টি লিগের অংশ হতে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। ডি’ককের অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিগ ব্যাশ লিগে অংশ নেওয়ার কথা ছিল যা ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। এই কারণে টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডেও বাছাই করেনি।
কুইন্টন ডি’কক ২০২৩ বিশ্বকাপে একটি চাঞ্চল্যকর পারফরম্যান্স করেছিলেন, ১০ ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরি সহ ৫৯৪ রান করেছিলেন। টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন ডি’কক। তার পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দলটি সেমিফাইনালে উঠতে সক্ষম হয়েছিল, যেখানে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :