এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ১১ ডিসেম্বর মাঠে নামছে বসুন্ধরা কিংস। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভারতের ক্লাব ওড়িশা এফসি। ম্যাচটি খেলতে শনিবার দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশের জায়ান্ট বসুন্ধরা কিংস। আজ ভোর পাঁচটায় ওড়িশার উদ্দেশে দেশ ছাড়ে অস্কার ব্রুজোনের শিষ্যরা।
সোমবারের ম্যাচটি দুই দলের জন্য অলিখিত ফাইনাল। ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে খেলতে হলে কিংসের প্রয়োজন মাত্র একটি ড্র। অন্যদিকে এ ম্যাচকে ক্লাবের ইতিহাসেরই সবচেয়ে বড় ম্যাচ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের অ্যাকাউন্টে উল্লেখ করেছে ওড়িশা।
২০১৪ সালে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ শুরুর সময় জন্ম ক্লাবটির, এই প্রথম খেলছে এএফসি কাপে। সেখানে তারা কিংসের বিপক্ষে এমন একটা ম্যাচের সামনে দাঁড়িয়ে, যে ম্যাচ জিততে পারলে প্রথমবারের মতো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসরের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালেও উঠে যাবে তারা। সেই একই হাতছানি কিংসের সামনেও।
তবে পার্থক্য হলো কিংস এর আগেও অনেকটা এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়েছে। নির্দিষ্ট করে বললে দুইবার। সেই দুইবারই বাধার দেয়াল ছিল ভারতের ক্লাব মোহনবাগান। করোনাকালে কেন্দ্রীয় ভেন্যু ছেড়ে এ বছর এএফসি কাপ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ফরম্যাটে ফিরতেই ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে এর মধ্যেই মোহনবাগান বাধা পেরিয়ে গেছে অস্কার ব্রুজোনের দল।
১১ ডিসেম্বরের ম্যাচে ড্র করলেও ওড়িশাকে পেছনে ফেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে খেলবে বসুন্ধরা কিংস। তাদের সামনেও তাই প্রথমের হাতছানি। এবারের সুযোগটা কিছুতেই হাতছাড়া করতে চায় না কিংস। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে ম্যাচ পরিকল্পনা নিয়েও খুব সতর্ক ব্রুজোন। গতকালও কিংস অ্যারেনায় রুদ্ধদ্বার অনুশীলন করিয়েছেন তিনি।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :