বর্ডার- গাভাস্কার ট্রফিতে চোট পাওয়ার পর দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকতে হয় শ্রেয়স আইয়ারকে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে গত মৌসুমে আইপিএল খেলতে পারেননি তিনি। তাঁর পরিবর্তে কেকেআরের অধিনায়কত্ব পালন করেন নীতীশ রানা। যদিও গত মৌসুমে নাইটদের পারফরম্যান্স একেবারেই ভালো ছিল না।
অনেক প্রশ্ন উঠে যায় কেকেআরের সিনিয়ক ক্রিকেটারদের দায়বদ্ধতা নিয়ে। গত মৌসুমের হারের ধাক্কা কাটাতে মরিয়া নাইট শিবির। মেন্টর করা হয়েছে নাইটদের প্রাক্তন লাকি অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরকে। যেই দুই বছর কেকেআর চ্যাম্পিয়ন হয়, সেবার অধিনায়ক ছিলে গৌতি। এবার ফের একবার তাঁকেই ফেরালেন শাহরুখ খানরা।
গৌতি ফিরতেই নতুন করে দল গঠনে নেমে পড়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। গতবারের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে মরিয়া তারা। ইতিমধ্যেই রিটেনশন এবং রিলিজ ক্রিকেটারদের তালিকা তারা প্রকাশ করেছে। তবে নতুন মৌসুমের জন্য নাইট টিম ম্যানেজমেন্ট যে এখন থেকেই আসরে নেমে পড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
গত মৌসুমে চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া শ্রেয়স আইয়ারকে ফের কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের অধিনায়ক করা হল। পাশাপাশি শ্রেয়সের ডেপুটি হিসাবে থাকবেন নীতীশ। যিনি গত মৌসুমে শ্রেয়সের অবর্তমানে নাইটদের অধিনায়কত্ব সামলেছেন। তাঁকেও এবার শ্রেয়সের ডেপুটি হিসাবে রাখা হয়েছে। ফলে নাইট ম্যানেজমেন্ট যে আসন্ন মৌসুমকে একেবারেই হালকা মেজাজে দেখছেন না তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ফের একবার অধিনায়ক হওয়ার পর শ্রেয়স বলেন, `আমি বিশ্বাস করি গত মৌসুমে আমার অনুপস্থিতি গোটা দলকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে যায়। নীতীশ শুধুমাত্র আমার জন্যই নয়, তাঁর প্রশংসনীয় নেতৃত্ব দিয়েও একটি দুর্দান্ত কাজ করেছে। আমি আনন্দিত যে কেকেআর তাকে সহ-অধিনায়ক হিসাবে বেঁছে করেছে। আমাদের এই জুটি আগামী মরশুমে দলকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।`
গত বর্ডার- গাভাস্কার ট্রফিতে চোট পাওয়ার পর অস্ত্রোপচার হয় শ্রেয়সের। ফলে তিনি দীর্ঘ কয়েক মাস মাঠের বাইরে ছিলেন। গত বিশ্বকাপের কয়েক মাস আগেই পুরোপুরি ফিট হয়ে ফিরে আসেন মাঠে। ব্যাট হাতে রানও পেয়েছেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই শ্রেয়সের ফিরে আসা কেকেআরকে অনেকটাই সাহায্য করল বলে মনে করছে ক্রিকেট মহল। এখন এটাই দেখার নতুন মেন্টরকে সঙ্গে নিয়ে কেকেআরকে সাফল্য এনে দিতে পারেন কিনা শ্রেয়স-নীতীশ জুটি!
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :