লিওনেল স্কালোনিকে নিয়ে বিগত কয়েকদিনে ফুটবল পাড়ায় কম আলোচনা হয়নি। গত নভেম্বরে ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচের পর নিজের পদত্যাগের আভাস দেন তিনি। জাতীয় দলে আরো শক্তিশালী একজন কোচ দরকার, এমন মন্তব্য করেছিলেন ৪৬ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন কোচ।
এরপর থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের গুঞ্জনই কানে এসেছে। আর্জেন্টিনার গণমাধ্যমের ভাষ্য ছিল ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি ক্লদিও তাপিয়ার সঙ্গে মতবিরোধের জেরেই নাকি নিজের পদ ছাড়তে চান কোচ স্কালোনি। আবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য অ্যাথলেটিক সামনে এনেছিল মেসির সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের খবর।
অন্যদিকে, কোচ স্কালোনিসহ বাকি কোচিং প্যানেলের প্রত্যেকেই বিশ্বকাপের বোনাস বুঝে পাননি এমন কথাও প্রকাশ্যে এসেছে। তবে ব্রাজিল ম্যাচের পর স্কালোনি কোচ থাকবেন না এমনটা প্রায় নিশ্চিতই হয়ে পড়েছিল। এরপর থেকে তার সঙ্গে বারবার আলাপ করেছেন দলের খেলোয়াড়রা।
এ সময় কোচকে পদ না ছাড়ার জন্য অনুরোধও জানানো হয়েছিল। স্কালোনিও জানিয়েছিলেন, খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলাপ করেই নিজের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য নিজের মত কিছুটা বদলেছেন কোচ স্কালোনি। নিজেই জানিয়েছেন তার লম্বা সময় কোচ থাকার বার্তা।
সম্প্রতি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ এবং লাৎজিও ম্যাচে হাজির ছিলেন বিশ্বকাপজয়ী কোচ। এরপরই নিজের সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ করেছেন তিনি। ম্যাচশেষে এই কোচ বলেন, ‘আমার এবং কোচিং স্টাফের লক্ষ্য আমরা যা অর্জন করেছি, লম্বা সময় ধরে তার প্রমাণ করে যাওয়া।’
মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়ামে বসে এই কোচ আরো উল্লেখ করেন, ‘মূল বিষয়টা হচ্ছে, এটা পরখ করে দেখা আমরা যা অর্জন করেছি, সেটার জন্য সত্যিই আমরা যোগ্য কিনা। এখনও আমরা সেখানেই আছি। তাই প্রথম দিনের পর থেকে আজ পর্যন্ত কিছুই পরিবর্তন হয়নি।’
নিজের এমন অবস্থান নিয়ে শিষ্যদের সঙ্গেও কথা বলতে চান এই কোচ, ‘আমি এ কারণেই মাদ্রিদে এসেছি। রদ্রিগো ডি পল এবং নাহুয়েল মলিনার সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বলব (দুজনেই অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের খেলোয়াড়)।’
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :