বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় এবং রানার গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘রানার মহান বিজয় দিবস কাবাডি প্রতিযোগিতা-২০২৩’ এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ কাবাডি ক্লাব। আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর পল্টনস্থ কাবাডি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে আসরের নবীনতম দল মেঘনা কাবাডি ক্লাবকে ২৭-৪৪ পয়েন্ট ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় বাংলাদেশ পুলিশ। ২টি লোনাসহ ম্যাচটি জেতেন শরীফ, মিজান, মহেশদের নিয়ে গড়া দলটি। পুরো আসর জুড়ে অনবদ্য পারফরম্যান্স ছিল পুলিশ কাবাডি দলের। ফাইনালেও সেই ধারা অব্যাহত রাখেন বাদশা মিয়ার শিষ্যরা। ফাইনাল শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী এবং বিজিত দলের হাতে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ ট্রফি এবং আসরের সেরা ক্যাচার, সেরা রেইডার ও সেরা খেলোয়াড়ের হাতে ১০ হাজার টাকা করে অর্থ পুরস্কার তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এমপি।
এ সময় পুরস্কার মঞ্চে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ও কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিশেষ অতিথি রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান ও কাবাডি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান খান, বিশেষ অতিথি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, কাবাডি ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিজয় দিবস কাবাডিতে অনবদ্য পারফরম্যান্স করে সেরা ক্যাচার নির্বাচিত হন মেঘনা কাবাডি দলের অধিনায়ক জিয়াউর রহমান, সেরা রেইডার নির্বাচিত হন বাংলাদেশ পুলিশ কাবাডি দলের মিজানুর রহমান এবং টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন পুলিশ টিমের ভারতীয় রিক্রট মহেশ গৌড়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কাবাডি আমাদের জাতীয় খেলা। এই খেলার গৌরব প্রায় লুপ্ত হতে চলেছিল। কিন্তু কাবাডি ফেডারেশনের বর্তমান সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ ফেডারেশনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের কারণে খেলাটি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। এজন্য আমি কাবাডি ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা ছোট বেলায় যেভাবে কাবাডি খেলেছিলাম; এখন নিয়মে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সেটা আত্মস্থ করে আমাদের খেলোয়াড়রা যেভাবে নিজেদের নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছে তার জন্য আমি খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানাই। আমি চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স আপ দলের খেলোয়াড়দেরও অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।’
অনুষ্ঠানে কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘বিজয় দিবস কাবাডি প্রতিযোগিতায় এবার মোট ৮টি দল অংশ নিয়েছিল। সেখান থেকে দুটো দল ফাইনালে উঠে আসে। মেঘনা কাবাডি ক্লাব প্রথমবার দল গঠন করে ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়েছে। আমি মেঘনা দলকে অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ জানাই। আমাদের কাবাডি ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদককে আমি ধন্যবাদ জানাই একটি নবগঠিত দলকে ফাইনালে তুলে আনার জন্য। আমি আশা করছি ভবিষ্যতে তারা আরো ভালো করবে। বাংলাদেশ পুলিশ কাবাডি যোগ্যতম দল হিসেবেই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমি তাদেরও অভিনন্দন-শুভেচ্ছা জানাই।’
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :