AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কোসাকে কখনই ক্ষমা করবেন না তুরষ্কের রেফারি উমুত মেলার


Ekushey Sangbad
স্পোর্টস ডেস্ক
০১:০৭ পিএম, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩
কোসাকে কখনই ক্ষমা করবেন না তুরষ্কের রেফারি উমুত মেলার

গত ১১ ডিসেম্বর টার্কিশ সুপার লিগে এমকেই আনকারাগুসু ক্লাব সভাপতি ফারুক কোসা ম্যাচ শেষে রেফারি হালিল উমুত মেলারকে আকস্মিক থাপ্পড় মারেন। এই ঘটনায় পরবর্তীতে কোসাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঘটনাটিতে হতবিহবল হয়ে পড়া টার্কিশ রেফারি উমুত মেলার কখনই কোসাকে ক্ষমা করবেন না বলে জানিয়েছেন।

ম্যাচটির ৯৭ মিনিটে গোল করে এমকেইর সাথে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে কেকার রিজেস্পোর। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে কোসা দৌড়ে এসে মুলারকে আঘাত করেন। এতে মেলারের মুখের হাড়ে সামান্য চিড় ধরেছে। চিকিৎসার নিমিত্তে মুলারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  মুলার ইতোমধ্যে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এসময় স্থানীয় গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘ আমি কখনই তাকে ক্ষমা করবো না, ঘটনাটি ভোলার নয়।’

প্রথমবারের মত ঘটনাটি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘ঐ সময় আমি মাটিতে পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মনের মধ্যে যে ধরনের অনুভূতি হয়েছিল তা আমি জীবনে কোনদিন ভুলবো না। আর এ কারনেই আমি তাকে কখনোই ক্ষমা করবো না।’

ইতোমধ্যেই এই ঘটনায় কোসাকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছে টার্কিশ ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ)। সাথে আনকারাগুসুকে দুই মিলিয়ন লিরা (৫৪ হাজার পাউন্ড) জরিমানাও করা হয়েছে। এছাড়া আগামী পাঁচটি হোম ম্যাচে তাদেরকে দর্শকশুন্য স্টেডিয়ামে খেলতে হবে।

পরবর্তীতে আনকারাগুসুর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছে এই ঘটনায় তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করছেন ও ক্লাব সভাপতির পদ সড়ে দাঁড়াচ্ছেন। এই ঘটনায় কোসা বেশ অস্বস্তি বোধ করছেন বলেও স্বীকার করেছেন।

ঐ ঘটনার পর লিগের সব ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছিল টিএফএফ। মঙ্গলবার থেকে লিগের খেলা আবারো শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রথমদিনই লিগের নির্ধারিত তিনটি ম্যাচের একটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। ট্রাবজোনসপোরের বিপক্ষে খেলায় রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তষ্টি প্রকাশ করায় ইস্তাম্বুলস্পোর্সের সভাপতি মাঠ থেকে দলকে উঠিয়ে নিলে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়।

২০১৫ সাল থেকে টার্কিশ সুপার লিগের ম্যাচ পরিচালনা করে আসছেন মেলার। ফিফা রেফারি হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক ম্যাচও পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন। মেলার বলেন, ‘আমি মনে করি এই ঘটনাটি সকলের কাছেই একটি শিক্ষনীয় বিষয় হয়ে থাকবে। রেফারিকে উত্তেজিত করা কোনভাবেই ঠিক নয়। সবারই যার যার নিজস্ব দায়িত্ব আছে। আমি মনে করি এখানে শিক্ষার অভাব রয়েছে। রেফারিদেরর যথেষ্ট ট্রেনিংয়ের সুযোগ সুবিধা নেই। রেফারিরাও মানুষ, তাদেরও পরিবার আছে। সবসময় চাপে মধ্যে থাকলে কারো জন্যই ভালভাবে কাজ করা সম্ভব নয়।’

একুশে সংবাদ/এস কে

Link copied!