বৃষ্টির কারনে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তানের মধ্যকার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন খেলা হয়েছে ৬৬ ওভার। বক্সিং ডে টেস্টে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে দিন শেষে ৩ উইকেটে ১৮৭ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দিনের শুরুতে এবং দিনের শেষভাগে সহজ ক্যাচ ফেলায় হতাশা নিয়ে দিন শেষ করেছে পাকিস্তান।
আকাশ মেঘলা হবার কারনে এ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেয় পাকিস্তান। পার্থে সিরিজের প্রথম টেস্টের মত এবারও দলকে ভালো সূচনা এনে দেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাজা। ১৬৩ বলে ৯০ রানের জুটি গড়েন তারা। অবশ্য এই জুটি এত বড় হতো না। যদি ওয়ার্নারকে দু’বার জীবন না দিতো পাকিস্তানের ফিল্ডাররা।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে পাকিস্তানের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে স্লিপে ব্যক্তিগত ২ রানে থাকা ওয়ার্নারের সহজ ক্যাচ ফেলেন আবদুল্লাহ শফিক।
জীবন পেয়ে প্রথম টেস্টের মত বড় ইনিংস খেলতে পারেননি ওয়ার্নার। পাকিস্তানের অকেশনাল স্পিনার আগা সালমানের বলে স্লিপে বাবর আজমকে ক্যাচ দেন ৩টি চারে ৮৩ বলে ৩৮ রান করা ওয়ার্নার। এই ইনিংস খেলার পথে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে পঞ্চম সর্বোচ্চ টেস্ট রানের মারিক হন ওয়ার্নার। ১১১ টেস্টে ওয়ার্নার রান এখন ৮৬৮৯। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ওয়ার্নার।
ওয়ার্নার ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি খাজা। পেসার হাসান আলির বলে স্লিপে সালমানকে ক্যাচ দেন ৫টি চারে ১০১ বলে ৪২ রান করেন খাজা।
দলীয় ১০৮ রানে খাজা ফেরার পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মার্নাস লাবুশেন ও স্টিভেন স্মিথ। ৪৩তম ওভারে বৃষ্টি নামলে, দুই ঘন্টার বেশি খেলা বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে খেলা শুরু হলে ৫৮তম ওভারে লাবুশেন-স্মিথ জুটি ভাঙেন পেসার আমির জামাল। উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিলেও, তাতে সাড়া দেননি নন স্ট্রাইকের আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে ২টি চারে ২৬ রান করা স্মিথকে শিকার করেন জামাল। লাবুশেনের সাথে ৪৬ রান যোগ করেন স্মিথ।
এরপর ক্রিজে লাবুশেনের সঙ্গী হন ট্রাভিস হেড। ৩৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দিনের খেলা শেষ করেছেন তারা। অবশ্য দিনের শেষ ওভারে জীবন পান হেড। সালমানের করা ৬৬তম ওভারের তৃতীয় বলে দ্বিতীয় স্লিপে হেডের ক্যাচ ফেলেন পাক অধিনায়ক মাসুদ। ৩টি চারে লাবুশেন ৪৪ এবং ১টি বাউন্ডারিতে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন হেড। পাকিস্তানের হাসান-জামাল ও সালমান ১টি করে উইকেট নেন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :