নেপাল ক্রিকেটের পোস্টার বয় বলা সন্দীপ লামিচানেকে। বিশ্বের বুকে নেপালের ক্রিকেটকে তুলে ধরেন তিনি। আইপিএলে দিয়ে আলোচনায় আসা এই ক্রিকেটার নেপালের বোলিং আক্রমণের মূল অস্ত্র। কিন্তু নারীকে হেনস্তার কারণে ক্যারিয়ারকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছেন তিনি নিজেই। দেশটির তারকা এই ক্রিকেটারকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে কাঠমান্ডু জেলা আদালত।
মূলত, ২০২২ সালের আগস্টে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন লামিচানে। মাঝে জামিন পেয়ে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেনও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিযোগ থেকে রেহাই পাওয়া হয়নি তার। ধর্ষণের অভিযোগ দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ২৩ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার।
দেশটির সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, কাঠমান্ডু জেলা আদালত শুক্রবার লামিচানেকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। গত রোববার থেকে শুরু হওয়া চূড়ান্ত শুনানির ভিত্তিতে রায় দেওয়া হয়েছে। আদালত জানিয়েছেন, ধর্ষণের সময় মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক ছিল না।
লামিচানের বিরুদ্ধে ১৭ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন কাঠমান্ডু জেলা আদালত।
অপরাধবিধি ২০৭৪-এর ২১৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে লামিচানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর গৌশালা মহানগর পুলিশের কাছে তার বিরুদ্ধে মামলা করে সেই মেয়ে। ৭ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডু জেলা আদালত নেপালি এই তারকা ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ৬ অক্টোবর দেশে ফিরলে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
গ্রেফতারের পর কাঠমান্ডু জেলা আদালত গত বছরের ২২ নভেম্বর লামিচানেকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লামিচানে যান উচ্চ আদালতে।
এরপর চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি পাটান হাইকোর্টের বিচারক ধ্রুবরাজ নন্দ ও রমেশ ধাকালের যৌথ বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে ২০ লাখ নেপালি মুদ্রায় জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় তা ২৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। জামিনের পর নেপালের জার্সিতে তিনি নিয়মিতই খেলেছেন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :