সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে আগামীকাল মাউন্ট মাউঙ্গানুইয়ের বে ওভালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সেরাটা উজার করে দিতে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায়।
প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটের জিতে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারনে ভেসে যাওয়া দ্বিতীয় ম্যাচেও নিউজিল্যান্ডের উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছিলো টাইগাররা।
শেষ ম্যাচ জিতলেই টানা চতুর্থ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় দিয়ে বছর শেষ করতে পারবে বাংলাদেশ। চলতি বছর এর আগে এই ফরম্যাটে তিনটি সিরিজ খেলে সবগুলোতেই জয় পেয়েছে টাইগাররা। এরমধ্যে টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিয়েছে টাইগাররা।
জয় পাওয়া তিনটি সিরিজই ঘরের মাটিতে খেলেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল শেষ ম্যাচ জিততে পারলে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মত সিরিজ জয়ের পাশাপাশি নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটের সিরিজে অপরাজিত থেকে বছর শেষ করার নজির গড়বে টাইগাররা।
মিডল অর্ডার ব্যাটার তাওহিদ হৃদয় বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য জয়। আমরা যে কোন দলের বিপক্ষেই জিততে চাই তাই সব সময়ই আমাদের আমাদের শারীরিক ভাষা উদ্যমী থাকে।’
সংক্ষিপ্ত ভার্সনে বাংলাদেশ সব সময়ই দুর্বল দল হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকলেও সিরিজ জয় সম্ভব হলে দলের অগ্রগতির প্রমাণই ফুটে উঠবে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জয় বিশেষ করে এশিয়ান দলগুলোর জন্য সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং।
নেপিয়ারে প্রথম ম্যাচে সহজ জয়ের পর মাউন্ট মাউঙ্গানুইয়েরতে দ্বিতীয় ম্যাচেও দারুন শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। এই ভেন্যুতে গেল বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছিলো টাইগাররা।
ঐ টেস্ট জয়ের আগে নিউজিল্যান্ডের আঙিনায় ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই সব ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। প্রথমবারের মত টেস্ট জয়ের পর ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও হারের বৃত্ত ভাঙার পথ খুঁজে পায় টাইগাররা।
প্রথম ম্যাচে পাওয়া হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলতে পারেননি বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাস। প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৪২ রানে ইনিংস খেলে বাংলাদেশের ৫ উইকেটের জয়ে বড় ভ‚মিকা রাখেন লিটন। হাতে ইনজুরি সমস্যা থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচে খেলার জন্য ফিট ছিলেন সৌম্য সরকার।
হৃদয় বলেন, ‘কে খেলছে বা কে খেলছে না, সেটি বিষয় নয়। আমরা সবসময় দল হিসেবে খেলার চেষ্টা করি। দলে যে আসে, সে যতটা সম্ভব দলের জন্য অবদান রাখতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিনিয়র খেলোয়াড়রা সবসময় বাংলাদেশের হয়ে খেলবে না। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের সেরা পারফরমেন্স করতে হবে এবং এটাই লক্ষ্য।’
সব মিলিয়ে এই ফরম্যাটে ১৯বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। এরমধ্যে বাংলাদেশ জয় মাত্র ৪টিতে এবং নিউজিল্যান্ড জিতেছে ১৪টিতে। ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
বাংলাদেশ দল : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, রনি তালুকদার, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, আফিফ হোসেন, সৌম্য সরকার, মাহেদি হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম ও তানজিম হাসান।
নিউজিল্যান্ড দল : মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, মার্ক চ্যাপম্যান, রাচীন রবীন্দ্র, জ্যাকব ডাফি, এডাম মিলনে, ড্যারিল মিচেল, জেমস নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, বেন সিয়ার্স, টিম সাইফার্ট, ইশ সোধি ও টিম সাউদি।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :