‘কীর্তিমানের মৃত্যু নেই বহুল প্রচলিত এই প্রবাদ যেন শুক্রবার অনেকের নতুন করে মনে পড়েছে। ফুবলের ‘রাজা’ পেলের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল গতকাল। এক বছর পেরিয়ে গেলেও ভক্ত-সমর্থকেরা তাকে স্মরণ করেছেন। কারণ তিনি যে কিংবদন্তি। দৈহিক মৃত্যু হলেও তিনি যে কীর্তি গড়েছেন ফুটবল ইতিহাসে, তা চিরস্মরণীয়।
পেলের মৃত্যুর দিন রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করে ব্রাজিল। সেই হিসেবে দেশটির যে কোন রাষ্ট্রীয় শোক বা আনন্দের ছাপ পড়ে ক্রাইস্ট দি রিদিমারে। পাহাড়ের ওপর দু’হাত ছড়ানো যীশু খ্রীষ্টের এই ভাষ্কর্য দেশটিকে চেনানোর অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছে।
২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বরে পেলের মৃত্যুতে ক্রাইস্ট দি রিদিমারে ছিল জাতীয় পতাকার সবুজ-হলুদ রঙ। এদিন সেই আলো যেন বিষাদে ছেয়ে গিয়েছিল। ঠিক এক বছর পর ফুটবল সম্রাট- এর স্মরণে আবারো আলো জ্বলেছে সেই ভাস্কর্যে। এবার পেলের ১০ নাম্বার জার্সি জড়ানো হয়েছে ক্রাইস্ট দি রিদিমারের গায়ে।
পেলের মৃত্যুর এক বছরে সেখানে সংক্ষিপ্ত স্মরণ অনুষ্ঠানও হয়েছে। পোপ ফ্রান্সিসের বার্তা পড়ে শোনানো হয়েছে। যেখানে পোপ লিখেছেন, ‘পেলে এমন একজন খেলোয়াড় ছিলেন যে তার পুরো খেলোয়াড়ী জীবনে সব ইতিবাচকতাকে ধারণ করেছিলেন। ফুটবলের রাজার স্মৃতি সবার হৃদয়ে জাগরুক আর তা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে খেলার মাধ্যমে আমাদের এই বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার ব্যপারে।’
এদিন স্মরণ অনুষ্ঠান হয়েছে সান্তোসে পেলে যাদুঘর এবং এবং তার ক্লাব সান্তোসের স্টেডিয়ামে। যেখানে তার ছেলেদের একজন বাবার নামে ১০ টি বেলুন উড়িয়েছে ঠিক মাঠের মাঝখান থেকে। এরই মধ্যে পর্তুগীজ ভাষার অভিধানে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে ‘পেলে ‘ শব্দটি, যার অর্থ ‘অনন্য, অতুলনীয়।’
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :