তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-২০তে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। যেখানে টাইগারদের দেওয়া মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে কিউইরা।মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১০ ওভারে ৫ উইকেটে ৬৩ রান। এর আগে ১১০ রানে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ।
মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একদম শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে টিম সেইফার্টকে ফিরিয়ে যার শুরুটা করেন মাহেদী হাসান। সেইফার্ট সহ পরের চার ব্যাটারই ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ফিন অ্যালেন। তবে তাকেও ৩৮ রানে বোল্ড করে কিউইদের বড় ধাক্কা দিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। এ অবস্থায় এখন ম্যাচ হারের শঙ্কায় স্বাগতিকরা।
এর আগে,রোববার (৩১ ডিসেম্বর) নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায়। বাংলাদেশ আজ তাদের একাদশে একটি পরির্তন আনে। পেসার তানজিম হাসান সাকিবের পরিবর্তে নেয়া হয় স্পিনার তানভীর ইসলামকে। ইনজুরির কারণে দলে নেই লিটন দাস। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে স্কোরবোর্ডে ৪ রান তুলতেই টিম সাউদির শিকারে পরিণত হন সৌম্য সরকার। কিউই পেসারের বল বাঁক খেয়ে ভেতরে ঢুকতেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন, আম্পায়ারের আবেদনের বিরুদ্ধে রিভিউ নিলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারেননি সৌম্য।
ওয়ানডাউনে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও শুরুটা করেছিলেন চার মেরে। অ্যাডাম মিলনের ওভারে পরপর দুটি বাউন্ডারি মেরে খেলায় কিছুটা লড়াইয়ের আভাস দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু চা কমাতে গিয়ে শান্ত হয়ে যান অশান্ত। এতে করে যা হওয়ার তাই ঘটে। মিলনের বলে বাউন্ডারি মারার চেষ্টায় ক্যাচ দেন পয়েন্টে। ১৫ বলে তিনি করেন ১৭ রান।
পরের ওভারে সিয়ার্সের বলে আউট রনিও। কিউই পেসারের ইয়র্কারে তিনি এলবিডব্লিুউ হয়ে যান। তার বিদায় মাত্র ১০ রানে (১০ বল)।
মিডল অর্ডারে ভরসা রাখা তাওহীদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, শামিম হোসেনরা দিতে পারেননি আস্থার প্রতিদান। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিলিয়েছেন নিজেদের উইকেট। তাদের মতো ব্যর্থ হয়েছেন শেষদিকের ব্যাটাররাও। তাতে বড় লক্ষ্য দূরের কথা, লড়াই করার মতো শক্ত পুঁজিই মেলেনি বাংলাদেশের ব্যাটে।
এ দিন প্রথম ওভারে সৌম্য সরকার টিম সাউদিকে দারুণ এক কাভার ড্রাইভে চার মেরে রানের খাতা খোলেন। তখন মনে হচ্ছিল দিনটা হয়তো বাংলাদেশের হতে চলেছে। কিন্তু এরপর ক্রমেই টাইগারদের বিদায়ে বেড়েছে হতাশা। মিছিলে নাম লিখিয়েছেন আফিফ হোসেন, তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান ও শামিম হোসেন। কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারের শিকারে পরিণত হয়েছেন চারজনই।
ছন্দে থাকা শান্তকে বিদায় করেছেন অ্যাডাম মিলনে। এরপর বেন সিয়ার্সের বলে সাজঘরে ফিরেছেন রনি তালুকদারও। তিনি ১০ বলে করেন ১০ রান। আফিফ দিয়েছেন সহজ ক্যাচ। আউট হওয়ার আগে ১৩ বলে ২ চারে ১৪ রান করেন তিনি। শরীরের অনেক বাইরের বল খেলার চেষ্টা করতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়েন হৃদয়। তাতে ১৮ বলে ২ চারে ১৬ রানেই বিদায় নেন তিনি। মেহেদী ও শামিম যথাক্রমে ৪ ও ৯ রান করে বিদায় নেন।
শেষদিকে শরিফুলের ৪, তানভীরের ৮ ও রিশাদের ১০ রানে ভর করে বাংলাদেশ করে ১১০ রান। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন স্যান্টনার।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :