নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে রেকর্ড ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। সামনে সুযোগ ছিল জয় দিয়ে বছর শেষের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়েরও।তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-২০তে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। যেখানে মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একপর্যায়ে হারের শঙ্কায় ছিল কিউইরা। তবে আশা জাগিয়েও জিততে পারেনি টাইগাররা।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথমে ব্যাট করে ১১০ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধের আগে ১৪.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৫ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। পরে আর খেলা না হওয়ায় ডার্ক ওয়ার্থ লুইস মেথডে ১৭ রানে জিতেছে কিউইরা।
ম্যাচ হারলেও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে প্রথমবারের মতো কোনো বছর টি-২০ ফরম্যাটে সিরিজ না হারে শেষ করেছে টাইগাররা।
মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একদম শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে টিম সেইফার্টকে ফিরিয়ে যার শুরুটা করেন মাহেদী হাসান। সেইফার্ট সহ পরের চার ব্যাটারই ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ফিন অ্যালেন। তবে তাকেও ৩৮ রানে বোল্ড করে কিউইদের বড় ধাক্কা দেন শরিফুল ইসলাম। মাত্র ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারের শঙ্কায় ছিল স্বাগতিকরা।
তবে কঠিন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন স্যান্টনার ও জেমস নিশাম। দুজনে মিলে রানের গতি বাড়ান। একইসঙ্গে উইকেট পতন রোধেও মনোযোগী ছিলেন তারা। ফলে ফের জয়ের পথে ফিরেছে দলটি।
এর আগে আজ টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। বল হাতে দলের সেরা পারফর্মারও তিনি। মাত্র ১৬ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৪ উইকেট। কিউইদের বোলিং তোপে বাংলাদেশের কেউই বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়া তাওহীদ হৃদয় ১৬, আফিফ হোসেন ১৪ এবং রনি তালুকদার ও রিশাদ হোসেন ১০ রান করেন। আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :