বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনকে গেল মাসের ২৮ তারিখে সকাল সাড়ে ৭টায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গতকাল দুপুরে আইসিইউ থেকে কেবিনে আনা হয়েছে। আট দিন পর কেবিনে ফিরলেও সালাহউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করা যাবে না।
কেমন আছেন সালাহউদ্দিন, তা জানতে সালাহউদ্দিনের অফুরন্ত বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন মুখিয়ে আছেন। কিন্তু এই সময় রোগীর কাছে অবাধে সাধারনের আসা-যাওয়া করলে ক্ষতি হতে পারে। সেটা যেন না হয় তার জন্য হাসপাতাল কৃর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থানে থাকতে অনুরোধ করেছে সালাহউদ্দিনের পরিবারকে। গত ২৮ ডিসেম্বর সালাহউদ্দিনের ওপেনহার্ট সার্জারি করা হয়েছে।
ইনফেকশনের আশঙ্কা থাকে। ভিজিটর আওয়ারের নিয়ম মেনেও কেউ যেন সালাহউদ্দিনে সঙ্গে দেখা না করেন সেটিও তার পরিবার থেকে মেনে চলা হচ্ছে। রোগীর সুস্থতার কথা বিবেচনা করে ডাক্তারদের কথা গুরুত্ব দিচ্ছেন সালাহউদ্দিনের পরিবার।
সালাহউদ্দিনকে আইসিইউ থেকে বের করার আগে কেবিন ভালোভাবে স্যানিটাইজড করা হয়। যেহেতু ১৬ ডিসেম্বর ভর্তির প্রথম দিন থেকেই তার স্ত্রী ইমা সালাহউদ্দিন হাসপাতালেই অবস্থান করছেন, তাই তাকে নিয়ে শঙ্কা নেই। তিনি বাসায় যাওয়া আসা করছেন না।
অপারেশনের পর সালাহউদ্দিনের বুকে হালকা কাশি উঠছিল। আব্বাকে আইসিউতে আরও কয়েক দিন রাখার পরিকল্পনা করেন কন্যা কাজী সারাজিন। ডাক্তাররাও তাকে কেবিনে পাঠাননি। কেবিনে থাকার চেয়ে আইসিইউতে অবস্থান করলে যে কোনো সমস্যায় যখন-তখন ডাক্তাররা পাশে থাকতে পারবেন। এখন সুস্থতা অনুভব করলে কেবিনে আনা হয় সালাহউদ্দিনকে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে সালাহউদ্দিন কথা বলছেন। বাসায় কবে ফিরবেন—সেটি নিয়ে পরিবার দুশ্চিন্তা করছে না।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :