গত বছরে অনুষ্ঠিত ওডিআই বিশ্বকাপের সময় থেকেই শিরোনামে রয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তিনি শিরোনামে রয়েছেন তাঁর অদ্ভুত আউট হওয়ার ধরনে। ওডিআই বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিনি টাইমড আউট হয়েছিলেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই অদ্ভুত আউট হয়েছিলেন তিনি। ওডিআই ক্রিকেট এবং বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটার হিসেবে টাইমড আউট হয়ে লজ্জার নজির গড়েছিলেন।
শনিবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্ট ম্যাচে ও অদ্ভুতভাবে আউট হলেন তিনি। এদিন দিনের একেবারে শেষে হিট উইকেট আউট হয়েছেন তিনি।তবে তার আগে অনবদ্য শতরানে দলকে একেবারে চালকের আসনে বসিয়ে দিয়ে গিয়েছেন তিনি। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে যদিও ৪৩৯ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিনের শুরুতেই জলদি উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। জাদরান চারটি উইকেট নিয়েছেন ৮৩ রান দিয়ে। আহমেদ দুটি ও মাসুদ দুটি করে উইকেট নেন।
দ্বিতীয় দিনে সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবের মাঠে চতুর্থ উইকেটের জুটিতে ২৩২ রান যোগ করেন চান্দিমাল এবং ম্যাথিউস। ফলে দ্বিতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর হয় ৬ উইকেটে ৪১০ রান। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস এদিন ১৪১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দিনের একেবারে শেষ বলে বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দিয়ে ও তিনি হিট উইকেট আউট হয়ে যান। পাশাপাশি চান্দিমাল এদিন ১০৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন। এসএসসির মাঠে চতুর্থ উইকেটে নজিরগড়া জুটি গড়েছেন চান্দিমাল এবং ম্যাথিউস। যোগ করেছেন ২৩২ রান।ভেঙে দিয়েছেন ৩২ বছর আগেকার একটি নজির।
ঘটনাচক্রে ১৯৯২ সালের সেই ম্যাচে অর্জুন রণতুঙ্গা এবং অসঙ্কা গুরুসিংহে জুটিতে ২৩০ রান যোগ করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। যা ছিল এই ভেন্যুতে এতদিনের নজির। ওই ম্যাচে কিংবদন্তি অজি স্পিনার শেন ওয়ার্ন অস্ট্রেলিয়াকে ১৬ রানের ব্যবধানে এক অবিস্মরণীয় জয় এনে দিয়েছিলেন। এদিন সকালের সেশনে তিনটি উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা দল। তারপরেই জুটি বাঁধেন দীনেশ চান্দিমাল এবং ম্যাথিউস। তখন ও ৫০ রানে পিছিয়ে ছিল শ্রীলঙ্কা। এদিন ম্যাথিউস প্রথমে তাঁর শতরান পূরণ করেন। কোয়েস আহমেদের ফুল টস বলে চার মেরে শতরান পূরণ করেন তিনি। শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্টে এর আগে ম্যাথিউসের সর্বোচ্চ রান ছিল ১২২ ।যা তিনি ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করেছিলেন।এদিন সেই নজির ও ভেঙে দেন তিনি। অন্যদিকে নিজাদ মাসুদকে চার মেরে কেরিয়ারের ১৫ তম টেস্ট শতরান সম্পন্ন করেন চান্দিমাল। অন্যদিকে প্রথম দিন একেবারে শেষ সেশনে ১৯৮ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল আফগানিস্তান দল।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :