ব্রামাল লেনে তলানি দল শেফিল্ডের বিপক্ষে এ্যাস্টন ভিলা একটু বেশী কঠিন হয়ে উঠেছিল। উনাই এমেরির দল ১২ মিনিটে জন ম্যাকগিনের গোলে এগিয়ে যায়। চার মিনিট পর ডগলাস লুইজের পাস থেকে ওলি ওয়াটকিন্স ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ২০ মিনিটে কার্লিং শটে লিও বেইলি ব্যবদান ৩-০ তে নিয়ে যান। ৩০ মিনিটে ইউরি টিয়েলেমানসের জোড়ালো শটে আরো এক পায় ভিলা। ২০১১ সালে বোল্টনের বিপক্ষে চেলসির ম্যাচের পর এই প্রথম প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ৩০ মিনিটে কোন দল চার গোল দিল। বিরতির ঠিক পরপরই এ্যালেক্স মোরেনো ভিলার হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন।
লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা লিভারপুলের থেকে পাঁচ পয়েন্ট পিছিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভিলা।
জেমস পার্কে নিউক্যাসল পিছিয়ে পড়েও দারুন লড়াইয়ের পর লুটনের সাথে ৪-৪ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। সিন লংস্টাফ সাত মিনিটে কিয়েরান টিপ্রিয়ারের ক্রসে পোস্টের খুব কাছ থেকে বল জালে জড়িয়ে নিউক্যাসলকে এগিয়ে দেন। ২১ মিনিটে গাব্রিয়ল ওশো রস বার্কলির ক্রস থেকে লুটনকে সমতায় ফেরান। দুই মিনিট পর লংস্টাফ আবারো নিউক্যাসলকে এগিয়ে দেন। বিরতির পাঁচ মিনিট পর বার্কলি লুটনকে ম্যাচে ফেরান। ৫৯ মিনিটে ডান বার্নের বিপক্ষে পেনাল্টি আদায় করে নেন লুটনের শিয়েডোজি ওগবেনে। ভিএআর লম্বা সময় পরীক্ষা করে লুটনকে পেনাল্টি উপহার দেয়। কার্লটন মোরিস স্পট কিক থেকে গোল করলেও ডিফেন্ডারদের সীমা লঙ্ঘনের কারনে আবারো শটটি নেবার নির্দেশ দেয়া হয়। নার্ভাস মোরিস দ্বিতীয় সুযোগে অবশ্য কোন ভুল করেননি। তিন মিনিট পর লুটনকে আরো এগিয়ে দেন এলিজাহ আদেবায়া। কিন্তু ৬৭ মিনিটে ট্রিপিয়ার নিউক্যাসলকে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেন। ইনজুরি কাটিয়ে সেপ্টেম্বরের পর প্রথমবারের মত খেলতে নামা হাভি বার্নস কোনাকুনি শটে ছয় মিনিট পর নিউক্যাসলকে এক পয়েন্ট উপহার দেন।
নিউক্যাসল বস এডি হাউ বলেছেন, ‘ম্যাচে ফিরে আসার সত্যিকার কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের। কারন এটা মোটেই সহজ ছিল না। আমরা কিছু ভাল গোল করেছি, কিন্তু তারপর জিততে পারিনি।’
এই ড্রয়ে রেলিগেশন জোন থেকে এক পয়েন্টে উপওে উঠে এসেছে লুটন। নিউক্যাসল রয়েছে নবম স্থানে।
এ্যামেক্স স্টেডিয়ামে ব্রাইটন ৪-১ গেলে ক্রিস্টাল প্যালেসকে বিধ্বস্ত করে ইউরোপীয়ান আসরে খেলার আশা টিকিয়ে রেখেছে। সপ্তম স্থানে থাকা সিগালস লুইস ডাঙ্ক, জ্যাক হিনশেলউপ, ফাকুন্ডো বুনানোত্তের গোলে ৩৪ মিনিটেই ৩-০ ব্যবধানের লিড নিয়েছিল। ৭১ মিনিটে জিন মাতেতা প্যালেসের হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন। কিন্তু হুয়াও পেড্রো ম্যাচ শেষের পাঁচ মিনিট আগে দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করলে বড় জয় পায় ব্রাইটন।
টার্ফ মুরে দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও ডেভিড ডাট্রো ফোফানার জোড়া গোলে তলানির দ্বিতীয় দল বার্নলি দারুনভাবে লড়াইয়ে ফিরে এসে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :