ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তি পেয়েছেন ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার দানি আলভেজ। তাকে চার বছরের জেল এবং ভুক্তভোগী নারীকে ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদিও এই শাস্তি হতে পারতো আরো বড়।ভুক্তভোগীর আইনজীবীর আবেদন ছিল আলভেজের ১২ বছরের জেল। আর স্পেনের কৌঁসুলিরা চেয়েছিলেন ৯ বছরের জেল। কিন্তু সে তুলনায় যথেষ্ট কম শাস্তি পেয়ছেন আলভেজ।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ইউওএলের দাবি, নেইমারের পরিবারের কারণেই আলভেজের এতো কম সাজা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, গত ৯ আগস্ট স্পেনের আদালতে জরিমানার এই টাকা পাঠায় নেইমারের পরিবার। তাদের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আলভেজের সাজার মেয়াদ কমানোর জন্য টাকাটা ভুক্তভোগীকে দিতে বলা হয়েছে। সাজা কম হওয়ার পেছনে এটি বড় ভূমিকা রেখেছে।
আলভেজের শাস্তি কমাতে জরিমানার অর্থ দিয়ে সাহায্য করা তার সতীর্থ নেইমারের কড়া সমালোচনা করেছেন হফম্যান। ফুটবল এস্পানা পত্রিকাকে হফম্যান বলেন, ‘ধর্ষক দানি আলভেজের শাস্তিটা অনুকরণীয়। এটা দেখিয়েছে, সমাজ যৌন হেনস্তাকারী আর নারীবিদ্বেষীদের বরদাস্ত করে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে এই যে সে অর্থ ধার করেছে নেইমারের কাছ থেকে। সে ক্ষতিপূরণ দিয়ে শাস্তি কমিয়েছে, যা কিনা ভুক্তভোগীর সমস্যার সমাধান করবে না। এটা তাদের যন্ত্রণাও লাঘব করতে পারবে না।’
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ব্রাজিলিয়ান তারকার বিরুদ্ধে বার্সেলোনার একটি নাইট ক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পরে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে গ্রেফতার হন আলভেজ। এরপর থেকে কারাবন্দী আছেন তিনি। সে সময় নিজের সম্পদের সাহায্যেও নিতে পারেননি এ ফুটবলার।
ধারণা করা হচ্ছে, আলভেজ এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। সেই আপিলের রায় কি হবে, তা পরেই জানা যাবে। স্পেনে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাধারণত ৪ থেকে ১৫ বছরের জেল হয়। সেদিক থেকে আলভেজ সর্বনিম্ন সাজাই পেয়েছেন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :