বিপিএলের দশম আসরের ফাইনালে দলটির মুখোমুখি ফরচুন বরিশাল। চারবারের শিরোপাজয়ীদের বিপক্ষে রান তাড়া করতে নেমে দারুণ সূচনা পেয়েছিল বরিশাল।মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ১৫৪ রান সংগ্রহ করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১ ওভারে দুই উইকেটে ৯৪ রান সংগ্রহ করেছে ফরচুন বরিশাল।
বরিশালের হয়ে রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজ। মাত্র ৩ ওভারে দুজন যোগ করেন ৪১ রান। তবে এরপর ধীরে ধীরে কমে আসে রান তোলার গতি।
পাওয়ার প্লে শেষে অল্প সময়ের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার। তামিম ৩৯ ও মিরাজ ২৯ রান করেন। কাইল মেয়ার্স ও মুশফিকুর রহিম এখন দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন। অন্যদিকে জয়ের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে কুমিল্লা।
এর আগে আজ টস জিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণেই যেন মাঠে নামে দলের খেলোয়াড়রা। পুরো ইনিংসজুড়ে দারুণ লাইন-লেন্থে বোলিং করেছেন সবাই।
শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে কুমিল্লার উইকেট তুলে নিয়েছে বরিশাল। যার শুরুটা হয় প্রথম ওভারে সুনীল নারিন ফেরার মাধ্যমে। প্রথম কোয়ালিফায়ার জয়ের নায়ক লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয় দুজনই হয়েছেন ব্যর্থ।
লিটন ১৬ এবং হৃদয় ও জনসন চার্লস সমান ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন। একপ্রন্ত আগলে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এর আগে ব্যক্তিগত ৩ রানে রান আউট হন মঈন আলী। দলের ইনিংসের বাকিটা এগিয়ে নেন জাকের আলী ও আন্দ্রে রাসেল।
শেষদিকে মিরপুরে ঝড় তোলেন রাসেল। তার ১৪ বলে অপরাজিত ২৭ রানের ঝড়ে লড়াকু সংগ্রহ পায় কুমিল্লা। অন্যপ্রান্তে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের। বরিশালের হয়ে ফুলার দুটি এবং মেয়ার্স, সাইফউদ্দিন ও ম্যাককয় একটি করে উইকেট নেন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :