শনিবার মেইঞ্জকে ৮-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। এতে করে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা বায়ার লেভারকুজেনকে হটিয়ে বুন্দেসলিগার শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্ন টিকিয়ে রাখলো বেভারিয়ান্সরা।
দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হ্যারি কেন কাল এক অনন্য রেকর্ড স্পর্শ করেছেন। হ্যাট্রিক করার পাশাপাশি দুটি এ্যাসিস্টও রয়েছে। এর মাধ্যমে মিউনিখের জার্সি গায়ে প্রথম মৌসুমে এ পর্যন্ত ৩০ গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন ইংলিশ অধিনায়ক। আর এর মাধ্যমেই ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে হামবুর্গের জার্মান লিজেন্ড উয়ে সিলারের ৬০ বছরের রেকর্ড স্পর্শ করেছেন ইংল্যান্ডের কেন। মৌসুম শেষ হতে এখনো নয় ম্যাচ বাকি, যে কারনে কেনের সামনে সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে এই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবার। এছাড়া ২০২০-২১ মৌসুমে বায়ার্নের হয়ে রবার্ট লিওয়ানদোস্কির করা এক মৌসুমে ৪১ গোলের রেকর্ডও ছাড়িয়ে যাবার সুযোগ রয়েছেন কেনের সামনে।
এটা এবারের লিগে বায়ার্নের দ্বিতীয় বড় জয়। অক্টোবরে তারা তলানির দল ড্রামস্ট্যাডকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল। সেটাই এ পর্যন্ত এবারের আসরের সবচেয়ে বড় জয়।
এই জয়ে এখন পর্যন্ত লিগে অপরাজিত থাকা জাভি আলনসোর লেভারকুসেজনর সাথে এখন বায়ার্নের পয়েন্টের পার্থক্য মাত্র ৭। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে ল্যাজিওকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা বায়ার্ন মেইঞ্জের বিপক্ষে একটু বেশী নির্দয় হয়ে উঠেছিল। বিদায়ী কোচ থমাস টাচেল বলেছিলেন বায়ার্নের সামনে এখন জয়ের বিকল্প নেই। আলনসোর দলকে ধরতে হলে নিজেদের ম্যাচগুলোতে বায়ার্নকে জয়ী হতেই হবে। তারই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে শিষ্যরা।
১৩ মিনিটে জামাল মুসিয়ালার পাস থেকে কেন গোল করে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন। সাত মিনিট পর তার হেড রুখে দেন মেইঞ্জ গোলরক্ষক রবিন জেন্টনার। কিন্তু ফিরতি বলে লিও গোরেতকা ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ৩১ মিনিটে দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে বায়ার্ন রক্ষনভাগকে অবাক করে দিয়ে এক গোল পরিশোধ করেন এনডিয়েম আমিরি। কিন্তু প্রথমার্ধের স্টপেজ টাইমে গোরেতকার লফটে ডাসে কেন তার দ্বিতীয় গোল পূরণ করেন। ৩-১ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় স্বাগতিক বায়ার্ন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়ান অভিজ্ঞ থমাস মুলার। আর এতেই মেইঞ্জের বড় পরাজয় সময়ে ব্যপার হয়ে দাঁড়ায়। এরপর একে এক আরো চার গোল দিয়েছেন মুসিয়ালা, সার্জি গ্যানাব্রি, কেন ও গোরেতকা।গত গ্রীষ্মে টটেনহ্যাম থেকে বায়ার্নে আসা কেন প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বুন্দেসলিগার এ মৌসুমে চার হ্যাট্রিকের নতুন রেকর্ডও গড়েছেন।
এই পরাজয়ে তলানির থেকে দ্বিতীয় স্থানে তাকা মেইঞ্জ সেফটি জোন থেকে ৯ পয়েন্ট দুরে রয়েছে।এর আগে দিনের শুরুতে তলানির দল ড্রামস্ট্যাডকে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে আরবি লিপজিগ। এতে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে হঠিয়ে শীর্ষ চারে উঠে এসেছে লিপজিগ। বুধবার রিয়াল মাদ্রিদের কাছে শেষ ষোলতে পরাজিত হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে লিপজিগকে। কাল ম্যাচের তিন মিনিট থমাস ইশারউডের আত্মঘাতি গোলে এগিয়ে যায় লিপজিগ। মার্কো রোসের দল দ্বিতীয়ার্ধে ক্রিস্টোফ বামগার্টনারের গোলে ব্যবধান দ্বিগুন করে। পাশাপাশি দলের জয়ও নিশ্চিত হয়।
তলানির তৃতীয় দল কোলন উত্তেজনাকর ম্যাচে বরুসিয়া মনচেনগ্লাডবাখের সাথে দুইবার এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৩-৩ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ১৬তম রাউন্ড শেষে সেফটি জোন থেকে এখনো সাত পয়েন্ট দুরে রয়েছে কোলন।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :