এদিকে দিনের শুরুতে দিয়েগো সিমিওনের দলকে লজ্জা দিয়েছে নীচু সারির দল কাডিজ। রিয়াল বেটিস থেকে ধারে খেলতে আসা স্প্যানিশ এ্যাটাকার জুনামির দুই অর্ধের দুই গোলে ১৮তম স্থানে থাকা কাডিজের ২-০ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয়। এবারের মৌসুমে এনিয়ে সাত ম্যাচে পরাজিত হলো এ্যাথলেটিকো। এই তিন পয়েন্ট রেলিগেশন লড়াইয়ে থাকা কাডিজকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাবে।
এ্যাথলেটিকো কোচ সিমিওনে বলেছেন, ‘আজ ম্যাচের শুরুটা ভাল হয়েছিল। সকলের মধ্যে একটি গতি লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু প্রথম বিপদজনক পরিস্থিতিতেই কাডিজ গোল পেয়ে যায়। তারপর থেকেই পুরো দলের চেহারা পাল্টে যায়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতিও পাল্টাতে শুরু করে।’
এ্যাথলেটিকোর এবারের মৌসুম বেশ কিছু ঘটনায় বিঘিœত হয়েছে। ফর্মহীনতায় থাকা দলটি কোপা ডেল রে’র সেমিফাইনালের দুই লেগেই এ্যাথলেটিকো বিলবাওয়ের কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর প্রথম লেগে ইন্টার মিলানের কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে বিদায়র শঙ্কায় রয়েছে।
স্প্যানিশ স্ট্রাইকার জুনামি ২৪ মিনিটে বক্সের ভিতর অনেকটা ফাঁকায় থেকে দারুন এক ফিনিশিংয়ে কাডিজকে এগিয়ে দেন। এরপর ৬৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করার পাশাপাশি দলের জয় নিশ্চিত করেন। প্রথমার্ধে কোন দলই তেমন কোন ভাল আক্রমন করতে পারেনি। রুবেন সোবরিনোর বাম পায়ের ক্রসে জুনামি হেডের সাহায্যে গোল করে ডেডলক ভাঙ্গেন। ম্যাচে ফিরে আসার তাগিদে সিমিওনে বিরতির পর পরিবর্তিত দল নিয়ে মাঠে নামেন। এ সময় তিনি অভিজ্ঞ দুই মিডফিল্ডার সাউল নিগুয়েজ ও রডরিগো ডি পলের সাথে মেমফিস ডিপেকেও বদলী বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। আবারো জুনামির গোলেই দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুন হয়। জাভি হার্নান্দেজের লম্বা পাস থেকে করা ভলি ধরার সাধ্য ছিলনা এ্যাথলেটিকো গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাকের।
এই জয়ে কাডিজ সেফটি জোনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ১৭তম স্থানে থাকা সেল্টা ভিগোর থেকে এখন তারা মাত্র দুই পয়েন্ট পিছিয়ে আছে।
আরেক ম্যাচে দুইবার পিছিয়ে পড়েও তলানির দ্বিতীয় দল গ্রানাডাকে শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে পরাজিত করেছে রিয়াল সোসিয়েদাদ। এর আগে ঘরের মাঠে গেতাফেকে ১-০ গোলে পরাজিত করে টেবিলের অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে ভ্যালেন্সিয়া।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :