ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপে চরম ভরাডুবির পর নড়েচড়ে বসে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের পর নির্বাচক থেকে অধিনায়ক সবখানেই ব্যাপক রদবদল আনে তারা। সেই ধারাবাহিকতায় তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছাড়তে হয় বাবর আজমকে। যদিও দেশটির গণমাধ্যমের দাবি, নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে বাবরকে বাধ্য করা হয়েছিল।
বাবরের শূন্যস্থান পূরণ করতে টেস্টে শান মাসুদ ও টি-২০তে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে নতুন অধিনায়ক ঘোষণা করেছিল পিসিবি।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণ টি-২০তে আফ্রিদির অধীনে কেবল একটা সিরিজ খেলেছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সে সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হেরে বসে মেন ইন গ্রিনরা।
চলতি বছরের মাঝামাঝিতে মাঠে গড়াবে টি-২০ বিশ্বকাপ। কিউইদের বিপক্ষে এই সংস্করণে পাকিস্তানের হতশ্রী পারফরম্যান্সে তাই প্রশ্ন জাগে আফ্রিদির নেতৃত্ব নিয়ে।
পাকিস্তান পেসারের নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ অবশ্য আরো নড়বড়ে করে দেয় গত সপ্তাহে পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভির এক মন্তব্য। নতুন নির্বাচক কমিটি ঘোষণার দিনে পিসিবি সভাপতি জানান, সামনে অধিনায়ক হিসেবে আফ্রিদি থাকবেন কিনা, এটা নিশ্চিত নয়।
পিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, ‘এমনকি আমিও জানি না কে অধিনায়ক হবে। শাহিন চালিয়ে যাবে, নাকি নতুন একজন আসবে, সেটি ফিটনেস ক্যাম্পের পর ঠিক করা হবে। বেশ কয়েকটি কৌশলগত ব্যাপার বিবেচনা করব আমরা, যেগুলোর বিস্তারিত কিছু বলছি না। আমরা দীর্ঘমেয়াদি সমাধান চাই-সেটি শাহিন হোক বা নতুন কেউ। এরপর আমরা তার ওপরই ভরসা করতে চাই, একটা ম্যাচ হারলেই অধিনায়ক বদলাতে চাই না।’
এরপর থেকে আফ্রিদির অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্নের পাল্লা আরও ভারী হয়। পাকিস্তানি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আবারো বাবর আজমের কাঁধে নেতৃত্বের ভার ফিরিয়ে দিতে চায় পিসিবি। এদিকে আফ্রিদির নেতৃত্বে কেড়ে নেয়ার গুঞ্জনে পিসিবির কড়া সমালোচনা করেছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি।
বিশেষ করে মহসিন নাকভির ওই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। শহীদ আফ্রিদি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আপনি যদি কাউকে নিয়োগ দিচ্ছেন, তাকে দায়িত্ব দিচ্ছেন, তাহলে তাকে সময়ও দেওয়া উচিত।’
এদিকে বাবর আজমের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরার দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানাচ্ছে, নেতৃত্ব নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি বাবর। তিনি পিসিবিকে উল্টো কিছু শর্ত দিয়েছেন। কেবল সেসব বিষয়ের সুরাহা হলে পুনরায় দলের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :