অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। সেটিও আবার ঘরের মাঠে। স্বাভাবিকভাবেই সিরিজটি ঘিরে প্রত্যাশা ছিল অন্যরকম। তবে যা হয়েছে সেটি অবশ্য ভুলে যেতেই চাইবেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা।
শক্তি ও সামর্থ্যের বিবেচনায় বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সফরকারীদের সঙ্গে বিন্দুমাত্র লড়াই জমানো যাবে না, এমন করুণ অবস্থা ছিলো বলে মনে করেন না টাইগ্রেস দলপতি জ্যোতি। তার মতে, নিজেদের সামর্থ্যের ১০ ভাগও মেলে ধরতে পারেননি তারা।
বুধবার মিরপুরে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। সিরিজের আগের দুই ম্যাচ হেরে থাকায় এই ম্যাচ জিতে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশড করেছে অজিরা।
বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে হারলেও হারের ধরনগুলো ছিলো পীড়াদায়ক। তিন ম্যাচের কোনটিতেই বাংলাদেশের ব্যাটাররা ১০০ রান করতে পারেননি।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে ২১৩ রানে আটকে নিজেরা গুটিয়ে যান ৯৫ রান। পরের দুই ম্যাচেই আগে ব্যাটিং পায় স্বাগতিক দল। দ্বিতীয় ম্যাচে ৯৭ রানে গুটিয়ে হারে ৬ উইকেটে। আজ শেষ ওয়ানডেতে জ্যোতিরা করেন স্রেফ ৮৯ রান। প্রায় ৩২ ওভার আগে ওই রান পেরিয়ে ম্যাচ জিতে যায় অ্যালিসা হিলির দল।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্ময় প্রকাশ করে জ্যোতি বলেন, ‘১০ শতাংশও না (সামর্থ্য মেলে ধরা)। কারণ আমি নিজেও পুরোপুরি বিস্মিত। গত ৬ মাসে যেভাবে ক্রিকেট খেলেছি, এটা একেবারেই অমন না। পুরো দল ব্যর্থ। দু একটা দিকে ভুল হলে তবুও মেনে নেয়া যায়। কিন্তু পুরো দল ভিন্ন ধরনের ক্রিকেট খেলছে। মনে হচ্ছে যে ব্যাকফুটে রাখছে, মনে হয় যে সামর্থ্যের ১০ ভাগও খেলতে পারিনি।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামার আগে মানসিকভাবে হয়ত যথেষ্ট শক্তিশালী ছিলেন না মনে করছেন জ্যোতিরা, ‘মনে হয় মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার। কারণ দক্ষতা অনুযায়ী তো সমস্যা আছে বলে মনে হয় না। যদি থাকত, তাহলে তো আগে ম্যাচ জিততে পারত না। আমি জানি না সবার মধ্যে কি কাজ করছে।’
ওয়ানডে সিরিজের পর এবার দুদলের সামনে টি-২০ লড়াই। আগামী ৩১ মার্চ প্রথম টি-২০তে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া। এরপর আগামী ২ এপ্রিল দ্বিতীয় এবং শেষ টি-২০ মাঠে গড়াবে ৪ এপ্রিল। সবগুলো ম্যাচই হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :