আইপিএলের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে চলমান আসরে তিন ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছে তারা। মূলত দলটির নেতৃত্বে পরিবর্তন আসার পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল ভাঙনের সুর। রোহিত শর্মাকে সরিয়ে হার্দিক পান্ডিয়াকে দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই মূলত এই আলোচনা শুরু।
মুম্বাইয়ের সমর্থকরা রোহিতকেই সমর্থন দিচ্ছে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে অবশ্য ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না টিম ইন্ডিয়ার কাপ্তান। উল্টো সোমবার (১ এপ্রিল) নিজেদের সবশেষ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে খেলতে নেমে আউট হয়েছেন প্রথম বলে।
এর মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডের মালিকও হয়েছেন রোহিত। আইপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৭ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন রোহিত। ছুঁয়েছেন আগে থেকেই শীর্ষে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিককে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, পীযূষ চাওলা, মানদীপ সিং ও সুনীল নারাইন। ১৪ বার করে শূন্য রানে আউট হয়েছেন রশিদ খান, মনীশ পাণ্ডে ও আম্বাতি রাইডু।
আন্তর্জাতিক টি-২০তে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ বার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড রোহিতের। সর্বোচ্চ ১৩ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং। তবে স্বীকৃত টি-২০তে সর্বোচ্চ শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড নারাইনের- ৪৩ বার।
সমান ৪৩ বার শূন্য রানে ফিরেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ওপেনার অ্যালেক্স হেলসও। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা রশিদ মাত্র ২৪৩ ইনিংস খেলেই ৪১ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। ভারতীয় অধিনায়ক সব মিলিয়ে স্বীকৃত টি-২০তে রান না করেই আউট হয়েছেন ২৯ বার।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ শূন্য রানে আউট হয়েছেন সৌম্য সরকার। মাত্র ২১৪ ইনিংসে ২৮ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনি। সাকিব আল হাসানও আছেন এই তালিকায়। তিনি শূন্য রানে আউট হয়েছেন ২৮ বার। তবে সাকিব খেলেছেন ৩৯৩ ইনিংস।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :