২০২৪ আইপিএলে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দিল্লির পেসার মায়াঙ্ক যাদব। লখনউয়ের জার্সিতে প্রথমে পাঞ্জাব এবং পরবর্তী ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে নিজের আগুনে গতির বোলিং দেখিয়েছেন ২১ বছরের তরুণ। ২টি ম্যাচে মোট ৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার।
২০২৪ আইপিএলের দ্রুততম বোলারদের মধ্যে সবার উপরেই নাম রয়েছে মায়াঙ্কের। কিন্তু হঠাৎই তৈরি হল বিতর্ক। মুম্বাইয়ের গত ম্যাচের পরে দেখা যায় দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার জেরাল্ড কোয়েটজির এবারের আইপিএলে দ্রুততম বল করেছেন ১৫৭.৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে। তবে তার একদিন পরই আরসিবির বিপক্ষে মায়াঙ্ক যাদব ১৫৬.৭ গতিবেগে বোলিং করেন। সকলকে অবাক করেই জেরাল্ডকে টপকে দ্রুততম বোলারদের তালিকায় ওপরে উঠে আসেন মায়াঙ্ক। আর তাতেই শুরু হয় বিতর্ক।
আইপিএলের তরফে করা এক পোস্টে দেখা যায়, টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সব থেকে জোরে বলের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার শন টেট। ২০১১ সালে একটি ম্যাচে তার বোলিংয়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৭.৭ কিমি। লকি ফার্গুসন ২০২২ আইপিএলে বল করেছিলেন সর্ব্বোচ ১৫৭.৩ কিমি প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন উমরান মালিক, তাঁর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৭ কিমি। চতুর্থ স্থানে রয়েছে মায়াঙ্কের নাম, যিনি আরসিবির বিপক্ষে ১৫৬.৭ গতিবেগে বল করেন । এখানেই শুরু হয় বিতর্ক। তালিকা থেকে বাদ পড়ে জেরাল্ড কোয়েটিজির নাম। কিন্তু কেন এমন হল?
আইপিএলের দেখানো এক গ্রাফিক্স কার্ডে দেখা যায়, কিংসদের বিপক্ষে ২০২৪ আইপিএলে ১৫২.৩কিমি প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে বোলিং করেছেন জেরাল্ড। বিতর্কের সূত্রপাত এখানেই। কারণ এবারের আইপিএলে কোনো এমন দলের সঙ্গেই মুম্বাইয়ের খেলা হয়নি, যাদের নাম কিংস। পঞ্জাব কিংস এবং চেন্নাই সুপার কিংস, দুই দলই এখনও পর্যন্ত মুম্বইয়ের সঙ্গে খেলেনি।
জানা গেছে, রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচে তার একটি ডেলিভারির গতিবেগ ছিল ১৪১ কিমি প্রতি ঘণ্টার আসে পাশে। অর্থাৎ প্রযুক্তিগত কারণে তা হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু গুজরাট, হায়দরাবাদ ও রাজস্থানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলা মুম্বাইয়ের বোলার কিভাবে কিংসদের বিপক্ষে ম্যাচ না খেলেই রেকর্ড তালিকায় নাম তুলে ফেললেন, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন।
যদিও প্রোটিয়া পেসারের থেকে সব দিকেই এগিয়ে রয়েছে দিল্লির ছেলে মায়াঙ্ক। এখনও পর্যন্ত ২টি ম্যাচে তিনি উইকেট নিয়েছেন ৬টি। সেখানে তাঁর আগুনে বোলিংয়ের শিকার জনি বেয়ারস্টো, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ক্যামেরন গ্রিনের মত বিদেশি তারকারা। ইকোনমি রেটও চমকপ্রদ, মাত্র ৫.১২। সেখানে প্রোটিয়া পেসার জেরাল্ড কোয়েটজির ৩ ম্যাচে প্রাপ্ত উইকেট সংখ্যা ৩। ইকোনমি রেট ১১.৪২। ফলে বিতর্কের মাঝেও সব দিক থেকে যে মায়াঙ্কই এই মুহূর্তে সকলের থেকে এগিয়ে রয়েছে তা সহজেই অনুমেয়।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :