টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে সরিয়ে পাকিস্তানের সাদা বলে দুই ফরম্যাটের নেতৃত্ব পুনরায় দেওয়া হয়েছে বাবর আজমকে। এটি নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে আলোচনা-সমালোচনা চলছেই। তবে টেস্ট অধিনায়ক শান মাসুদের মাতে আফ্রিদিকে চাপমুক্ত রাখতেই বাবরকে পুনরায় নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভারতের মাটিতে সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায় নিয়ে নিজ থেকেই পাকিস্তানের তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছাড়েন বাবর। এরপর টেস্টে মাসুদকে ও টি-টোয়েন্টিতে আফ্রিদিকে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কিন্তু ওয়ানডের অধিনায়কের স্থানটি ফাঁকা রেখে দেয় তারা।
অধিনায়ক হবার পর একটি করে সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাসুদ ও আফ্রিদি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ ও নিউজিল্যান্ড সফরে ৪-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারে পাকিস্তান।
পিসিবি নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে আফ্রিদিকে সরিয়ে দেন মহসিন নকভি। আবারও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ফিরে পান বাবর।
বাবরকে অধিনায়ক করার পেছনে অবশ্যই নতুন ব্যবস্থাপনা ও নতুন নির্বাচক কমিটির বিশেষ কোন পরিকল্পনা আছে বলে মনে করেন মাসুদ। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমকে মাসুদ বলেন, ‘একটি নতুন ব্যবস্থাপনা এসেছে, নতুন নির্বাচক কমিটি দায়িত্ব নিয়েছে এবং তাদের সবসময়ই নতুন পরিকল্পনা থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা তারা বলেছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তারা সম্ভবত আফ্রিদির উপর চাপ কমাতে চান এবং তাকে বিশ্রাম দিতে চান। তার ওয়ার্কলোড সামলানোর ব্যাপারও আছে। গত বিশ্বকাপের আগে আমরা ইনজুরির কারণে নাসিম শাহকে হারিয়েছি, এজন্য চড়া মূল্য দিতে হয়েছে পাকিস্তানকে। আফ্রিদিকে নিয়ে এরকম কিছু চায় না তারা। পরিবর্তন হয়েই থাকে, এবার তেমনই হয়েছে।’
নেতৃত্বে পরিবর্তন হলেও,পাকিস্তানের সাফল্যের জন্য দলের মধ্যে ঐক্য ও প্রতিশ্রুতিতে কোন কমতি হবে না বলে জানিয়েছেন মাসুদ। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের সবার লক্ষ্য একই থাকে। আর তা হলো- পাকিস্তান দল যেন ভালো করতে পারে। নেতৃত্বে যেই থাকুক, সবাই তার পাশে থাকে এবং দলকে ভালো অবস্থায় নিতে প্রস্তুত থাকে।’
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :