হারের হ্যাটট্রিক করে ফেলল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। শনিবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে আরসিবি-কে ৬ উইকেটে হারতে হয়। অথচ এই ম্যাচে বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। তার পরেও অবশ্য তিনি কাঠগড়ায়। এই ম্যাচে হারের পর প্রাক্তন আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে বেশ হতাশ দেখাচ্ছিল। কোহলি এদিন ৭২ বলে ১১৩ রান করেছেন। তবে এই ম্যাচে হারের জন্য তাকেই দায়ী করা হচ্ছে। আসলে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ থেকে সমর্থক- সকলেই বলছেন, বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি করলেও, তাঁর ইনিংস ছিল খুবই ধীর গতির। দলের অধিনায়ক ফ্যাফ ডু`প্লেসিও হারের পর হতাশা প্রকাশ করেছেন।
রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে হারের পর আরসিবি অধিনায়ক বলেছেন যে, ‘আমার মনে হয়েছে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করাটা কঠিন ছিল। ১৯০ একটি ভালো স্কোর ছিল। তবে আমরা আরও ১০-১৫ রান যোগ করতে পারতাম। তবে ওদের স্পিনাররা মধ্য ওভারে ভালো বোলিং করেছে। ওদের প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ভালো ছিল। শিশিরের কারণে ব্যাটিং করা সহজ হয়ে গিয়েছিল। বিরাট ব্যাক এন্ডে ভালো খেলছে। বিরাট বা গ্রিনি বা ডিকে যেই থাকুক না কেন, আমরা আরও কিছু রান করতে পারতাম। আমরা চেষ্টা করেছি, কিন্তু স্পিনারদের পিটিয়ে খেলাটা বেশ কঠিন ছিল। ফাস্ট বোলারদের খেলাটা সহজ ছিল।’
জয়পুরের পিচ সম্পর্কে ফ্যাফ বলেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে পিচ অনেক ভালো হয়ে গিয়েছিল। এটা শিশিরের কারণে হয়েছিল। এটাই উইকেটের আসল চরিত্র। ওদের টস জেতাটা প্লাস পয়েন্ট হয়ে যায়। আমরা কিন্তু বল হাতে প্রথম চার ওভারে দুর্দান্ত ছিলাম। কিন্তু (মায়াঙ্ক) ডাগরের ওভারে ২০ রান আমাদের উপর চাপ তৈরি করে।’
এই ম্যাচে ম্যাক্সওয়েলকে বোলিং করাতে পারেননি ফ্যাফ। এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ম্যাক্সওয়েলকে দিয়ে বোলিং না করানোর কারণ হল, সব ডানহাতি ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করছিল। তাই আমি বাঁহাতি স্পিনার মায়াঙ্ককে দিয়ে বল করাই। ও এই মৌসুমে আমাদের জন্য ভালো বোলিং করছে। এবং লেগস্পিনার হিমাংশুকে ব্যবহার করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ম্যাচে রক্ষণাত্মক হয়ে কোনও লাভ ছিল না। আমাদের উইকেট দরকার ছিল। আমরা যখন জয়সওয়ালকে আউট করি, তখন আমি ম্যাক্সওয়েলের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করিনি।’ ফিল্ডিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের ফিল্ডিং ছিল গড়পড়তা, এই নিয়ে কথা হয়েছে। আরও উন্নতি করার চেষ্টা করতে হবে।’
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :