লন্ডনের টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে স্বাগতিকরা হয়ে উঠেছিল অপ্রতিরোধ্য। ১৫ মিনিটে ফরেস্ট ডিফেন্ডার মুরিলোর আত্মঘাতি গোলে এগিয়ে যায় আনগে পোস্তেকোগ্লুর দল। টিমো ওয়ার্নারের লো ক্রস থেকে মুরিলো বল ক্লিয়ার করতে গেলে তা নিজের জালেই জড়ায়। এন্থনি এলানগার পাস থেকে দারুন স্ট্রাইকে ২৭ মিনিটে ক্রিস উড ফরেস্টকে সমতায় ফেরান। এবারের মৌসুমে এটি উডের ১২তম গোল। ৫২ মিনিটে জোড়ালো শটে আবারো টটেনহ্যামকে এগিয়ে দেন মিকি ফন ডি ভেন। ছয় মিনিট পর ১৪ গজ দুর থেকে পেড্রো পোরোর শক্তিশালী ভলিতে টটেনহ্যামের বড় জয় নিশ্চিত হয়।
এই জয়ে গোল ব্যবধানে এ্যাস্টন ভিলাকে পিছনে ফেলে টটেনহ্যাম চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। হাতে আবার এক ম্যাচ বেশী রয়েছে। শীর্ষ চারে থেকে লিগ শেষ করার মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার দৌড়ে সঠিক পথেই রয়েছে পোস্তেকোগ্লুর দল। স্পার্স বস বলেছেন, ‘প্রত্যেকেই চতুর্থ স্থানটির জন্য মুখিয়ে আছে। আমরা এখন সেই স্থানে, কিন্তু এখানেই সব শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। মৌসুম শক্তিশালী ভাবে শেষ করার লক্ষ্যে আমরা দারুনভাবে এগিয়ে যাচ্ছি।’
টেবিলের তলানির দিক থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা ফরেস্ট গোল ব্যবধানে লুটনের থেকে কোনমতে রেলিগেশন জোন থেকে উপওে রয়েছে।
রোববার দিনের অপর ম্যাচে ওলে ম্যাকবার্নির শেষ মুহূর্তের গোলে চেলসি তলানির দল শেফিল্ড ইউনাইটেডের সাথে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার স্টপেজ টাইমের অন্তিম মুহূর্তের দুই গোলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৪-৩ গোলে পরাজিত করেছিল ব্লুজরা। গতকাল ব্রামাল লেনে ম্যাচের ১১ মিনিটে কনর গালাহারের কর্ণার থেকে থিয়াগো সিলভার দারুন ফিনিশিংয়ে এগিয়ে যায় চেলসি। ৩২ মিনটে গুস্তাভো হামেরের পাস থেকে রাইট উইং ব্যাক জেয়ডেন বোগলে ব্লেডসের সমতায় ফেরান। ৬৬ মিনিটে কোনাকুনি শটে আবারো চেলসিকে এগিয়ে দেন নোনি মাদুয়েকে। স্টপেজ টাইমের তৃতীয় মিনিটে পোস্টের খুব কাছে থেকে ম্যাকবার্নি শেফিল্ডকে সমতায় ফেরান।
চেলসি বস মরিসিও পোচেত্তিনো বলেছেন, ‘এভাবে গোল হজম করা মোটেই ঠিক হয়নি। আমরা খুবই হতাশ। আমাদের আরো বেশী সতর্ক হওয়া উচিৎ ছিল।’
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :