দীর্ঘ ১৯ বছর পর ক্রিকেটীয় কার্যক্রম দেখলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম (বিএনএস)। বিএনএস’তে বসানো নতুন অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে ফিটনেস ড্রিলের অনুশীলন করেছে জাতীয় ক্রিকেটাররা।
৩ মে থেকে ঘরের মাঠে শুরু হতে যাওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে খেলোয়াড়দের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য এই কার্যক্রম ।
২০০৫ সালে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ক্রিকেটের পথচলা শুরুর আগে, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই নিয়মিতভাবে ক্রিকেট আয়োজন হতো।
জাতীয় দলের জন্য বিবেচনায় থাকা প্রায় ৩৫ ক্রিকেটার এই ফিটনেস সেশনে অংশ নেয়। এটিকে ‘শারীরিক পারফরমেন্স মূল্যায়ন’ সেশন হিসাবে অভিহিত করা হয়। জাতীয় দলের স্ট্রেন্থ এবং কন্ডিশনিং কোচ নাথান কিলির তত্ত্ববধানে প্রচন্ড গরমের মধ্যে হওয়া এই সেশনে বেশিরভাগ ক্রিকেটারই ভালো করেছেন।
প্রায় দু’মাস আগে পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত হওয়া ট্র্যাকে সকাল ৬টায় এই অনুশীলন পর্ব শুরু হয়ে চলে সকাল ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত । ৪শ মিটারের এই ট্রাকটি প্রস্তুত করতে প্রায় দুই বছর সময় লাগে।
বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধুমাত্র মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদেরই বিএনএসে ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোন ম্যাচে খেলেননি তারা। তরুণ বয়সে এই ভেন্যুতে ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ খেলেছিলেন তারা।
৪০ মিটার স্প্রিন্টে অংশ নেওয়ার আগে চার ল্যাপ দৌড়ান ক্রিকেটাররা। এরপর অনুশীলনের পরবর্তী ধাপের জন্য মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিরে যান তারা।
দু’টি গ্রুপে ভাগ করে হওয়া এই অনুশীলনে ১৬শ মিটার যৌথভাবে দৌড়ে প্রথম হন দুই তরুণ পেসার নাহিদ রানা ও তানজিম হাসান সাকিব। বিএনএস থেকে ক্রিকেট সরে যখন মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঘাঁটি বাঁধে তখন রানার বয়স ছিল মাত্র তিন বছর।
ক্রিকেটারদের আসন্ন ব্যস্তসূচীর কথা মাথায় রেখেই ফিটনেস ড্রিল অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হয়। মে মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে আগামী সাত মাসে আটটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে এবং অন্তত ১৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ক্রিকেটাররা।
আজ অনুশীলন সেশনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ট্রেনার ইফতিখারুল ইসলাম বলেন, ‘পাস বা ফেলের মত কিছু নেই। তাই এখানে কে ভালো করলো বা খারাপ করলো, তা জানা বাধ্যতামূলক নয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে, আমরা শুধু খেলোয়াড়দের শারীরিক অবস্থার মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছি।’
ফিটনেস ড্রিলের জন্য কেন বিএনএস অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক বেছে নেওয়া হয়েছে, সেইও ব্যাখ্যা দিয়েছেন ইফতিখারুল। তিনি বলেন, ‘সময়ের হিসেব রাখার একটি বিষয় ছিল বলে আমরা এই অ্যাথলেটিকস ট্রাকটি বেছে নিয়েছি। আপনি জানেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। আমরা ১৬শ মিটার টাইম ট্রায়াল পদ্ধতি অনুসরণ করেছি। অ্যাথলেটিকস ট্রাকে সঠিক সময় নির্ধারণ করা যায়। এজন্য এটিকে আলাদাভাবে চিন্তা করে খেলোয়াড়রা। কারণ এটা তাদের কাছে নতুন একটা বিষয় ছিল।’
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :