নিজে দুই গোল করেছেন এবং সার্জিও বাসকুয়েটসকে দিয়ে আরেক গোল করিয়েছেন, বেশ কিছুদিন পর মেসিময় এক ম্যাচ উপহার পেল ইন্টার মিয়ামি। মেসির জোড়া গোলে শনিবার ন্যাশভিলকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে মেজর লিগ সকারের ইস্টার্ন কনফারেন্সে শীর্ষে উঠে এসেছে মিয়ামি।
ফ্লোরিডার চেস স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে ড্যানিয়েল লোভিটের কর্ণার ডিফেন্ডার ফ্রাংকো নেগরির ডিফ্লেকটেড হয়ে নিজেদের জালে জড়ালে আত্মঘাতি গোলের লজ্জায় পড়ে মিয়ামি। জেরার্ডো মার্টিনোর দল শেষ ১১ ম্যাচের প্রতিটিতেই এনিয়ে গোল হজম করলো। তিন মিনিট পর জস বয়্যারের শট বারে না লাগলে ব্যবধান দ্বিগুন করতে পারতো ন্যাশভিলে। ১১ মিনিটেই মেসির গোলে সমতায় ফিরে স্বাগতিকরা। দিয়েগো গোমেজের চতুর এক ফ্লিকে মেসির শট প্রথমে আটকে দিয়েছিল ন্যাশভিলের গোলরক্ষক এলিয়ট পানিকো।
কিন্তু পর মুহূর্তেই লুইস সুয়ারেজের লুজ বল আবারো মেসির কাছে ফিরে এলে এবার আর কোন ভুল করেননি আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। দুই মিনিট পর ন্যাশভিলের কিছু ভুলে মিয়ামিকে এগিয়ে দেবার সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু এবার তার ডান পায়ের লো শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। কাল ম্যাচে যা কিছু তৈরী করেছে মিয়ামি তার নেপথ্যে ছিলেন মেসি। তার ক্রসে গোমেজের জেড পানিকো কোনমতে পা দিয়ে আটকে দেন। বিরতির ছয় মিনিট আগে মেসির কর্ণার থেকে সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ বাসকুয়েটসের হেডে ব্যবধান দ্বিগুন করে মিয়ামি। মার্কিন ক্লাবটির হয়ে মেজর লিগ সকারে বাসকুয়েটসের এটাই প্রথম গোল। কিন্তু বিরতির ঠিক আগে প্যারাগুয়ের মিডফিল্ডার গোমেজ গোঁড়ালির ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়লে মিয়ামি দু:শ্চিন্তায় পড়ে। এনিয়ে মিয়ামির ইনজুরির তালিকা আরো দীর্ঘ হলো। তার স্থানে খেলতে নামা ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত তরুণ লিনাড্রো আফোনসো বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারনে তা বাতিল হয়ে যায়।
বিরতি থেকে ফিরে এসে ন্যাশভিলে বেশ জোড়ালোভাবেই ম্যাচ শুরু করে। প্রথম থেকেই তারা বলের পজিশন নিজেদের দখলে নেয়। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ২০ মিনিট তারা মিয়ামির উপর পুরো প্রভাব দেখিয়েছে। জার্মান মিডফিল্ডার হানি মুখতার এসময় বেশ কিছু গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। ম্যাচ শেষের ৯ মিনিট আগে ডি বক্সের ভিতর আফোনসোকে ফাউল করে বসেন বয়্যার। প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে মেসি দলকে বড় জয় উপহার দেন।এবারের মৌসুমে মিয়ামির হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৯ ম্যাচে এটি মেসির নবম গোল।
ম্যাচ শেষে মিয়ামি কোচ জেরার্ডো মার্টিনো অবশ্য ধীরে শুরু করার কারনে কিছুটা অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন, ‘প্রথম কয়েক মিনিট আমরা মোটেই ভাল খেলতে পারিনি। তার উপর দ্বিতীয় মিনিটেই গোল হজম করেছি। প্রতিপক্ষ আজকের ম্যাচে বেশী মনোযোগী ছিল, অনেক বেশী আবহ বুঝে তারা খেলেছে। বলের পজিশনের দিক থেকেও ন্যাশভিলে এগিয়ে ছিল। অবশ্যই তারা আমাদের চাপে রেখেছিল। এখনো অনেক বিষয় আমাদের ঠিক করতে হবে। কিন্তু আমি এটি পুরো দলকে নিয়ে করতে চাই। এই মুহূর্তে সাত থেকে আটজন মূল দলের খেলোয়াড় ইনজুরির কারনে বাইওে রয়েছে। মেজর লিগ সকারে এভাবে এগিয়ে যাওয়া কঠিন।’
১০ ম্যাচে মিয়ামির সংগ্রহ ১৮ পয়েন্ট। মার্টিনো জানিয়েছেন খর্বশক্তির দল নিয়েও এই মুহূর্তে তার দলের যা অবস্থান তাতে তিনি সন্তুষ্ট, ‘এটাই ফুটবল। এতকিছুর পরেও আমরা যে এগিয়ে আছি এতেই আমি সন্তুষ্ট। গত বছর এই সময়ে আমরা এত পয়েন্ট অর্জন করিনি।’
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :