মুস্তাফিজুর রহমানের চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে জিততে শেষ ওভারে ১৭ রান প্রয়োজন পড়ে লখণৌ সুপার জায়ান্টসের। শেষ ওভারে বোলিং আক্রমনে আসা বাংলাদেশের কাটার মাস্টার ফিজের প্রথম ৩ ডেলিভারিতেই ১৯ রান তুলে লখণৌকে ৬ উইকেটের দুর্দান্ত জয়ের স্বাদ দেন ১২৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলা অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। চেন্নাইয়ের হতাশার ম্যাচে ৩ দশমিক ৩ ওভার বোলিং করে ৫১ রানে ১ উইকেট নেন ফিজ।
গতরাতে নিজেদের মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে অধিনায়ক ঋুতুরাজ গায়কোয়াড়ের সেঞ্চুরি ও শিবম দুবের ঝড়ো হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১০ রানের পাহাড় গড়ে চেন্নাই। ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬০ বলে অপরাজিত ১০৮ রান করেন ঋুতুরাজ।পাঁচ নম্বরে নেমে ২৭ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন দুবে। তার ইনিংসে ৩টি চার ও ৭টি ছক্কা ছিলো।
জবাবে খেলতে নেমে ৩৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে লখণৌ। নিজের প্রথম ওভারে ৪ রান দিয়ে লখণৌর অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে শিকার করেন মুস্তাফিজ।ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পেয়ে তিন নম্বরে নেমে চেন্নাই বোলারদের উপর চড়াও হন স্টয়নিস। দেবদূত পাডিক্কাল, নিকোলাস পুরান ও দীপক হুদার সাথে তিনটি হাফ-সেঞ্চুরির জুটি গড়ে লখণৌর জয়ের আশা ধরে রাখেন স্টয়নিস।
শেষ ওভারে ১৭ রানের দরকারে মুস্তাফিজের প্রথম দুই বলে ১টি করে চার-ছক্কা মারেন স্টয়নিস। তৃতীয় ডেলিভারিতে নো-বলে চার আদায় করে নেন তিনি। পরের বলে ফ্রি-হিটে আবারও চার মেরে লখণৌর জয় নিশ্চিত করেন স্টয়নিস। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ১৩ এবং তৃতীয় ওভারে ১৫ রান দেন ফিজ।
মাত্র ৫৬ বলে আইপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংসে ১৩টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৬৩ ডেলিভারিতে অপরাজিত ১২৪ রান করেন স্টয়নিস। আইপিএলের ইতিহাসে রান তাড়ায় কোন ব্যাটারের এটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর।
এখন পর্যন্ত চলতি টুর্নামেন্টে ৭ ম্যাচে চতুর্থ সর্বোচ্চ ১২ উইকেট শিকার করেছেন মুস্তাফিজ।৮ ম্যাচ শেষে ৮ করে পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চমস্থানে আছে চেন্নাই। সমানসংখ্যক ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থস্থানে লখণৌ।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :