চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ঋষভ পন্ত আদৌ খেলতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় ছিল এক মাস আগেও। অথচ এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আমেরিকায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ঢোকার অন্যতম প্রধান দাবীদার হয়ে উঠেছেন পন্ত। ভারতীয় দল নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন আগেই আইপিএলের ঋষভ পন্তের পারফরম্যান্স তাকে প্রথম দলের উইকেটকিপার হিসেবে জায়গা করে দিতে পারে।
জাতীয় নির্বাচকেরা পন্তকে ভারতের সহ-অধিনায়ক হিসেবে পুনরায় নিযুক্ত করবেন কিনা, তা নিয়ে জোর জল্পনা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ২০২৪ আইপিএলে ছন্দে না থাকা হার্দিক পান্ডিয়ার বদলে পন্তকেই সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হতে পারে। ২০২২ সালের জুনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও পন্ত ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
তবে পন্তকে সহ-অধিনায়ক কররা সিদ্ধান্তটি খুব সহজ হবে না। হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে তার তীব্র লড়াই রয়েছে এক্ষেত্রে। দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়কের পক্ষে যেটা যেতে পারে, সেটা হল নিজের ফর্ম, সেই সঙ্গে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে সাফল্য এনে দিতে হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যর্থতা। অধিনায়ক হিসেবে হার্দিকের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই সঙ্গে ম্যাচ হারের পর সতীর্থের বিরুদ্ধে তার প্রকাশ্য সমালোচনা, পান্ডিয়ার বিরুদ্ধে যেতে পারে। পাশাপাশি হার্দিক ভালো ছন্দেও নেই।
অনেকে আবার দাবি করছেন, ভারত অধিনায়ক হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়ার কৃতিত্বকে উপেক্ষা করা যাবে না। গত বছর বিশ্বকাপে তাকে সহ-অধিনায়ক মনোনীত করা হয়েছিল। পান্ডিয়ার যুক্তিসঙ্গত গতিতে বল করার ক্ষমতা অবশ্যই তার পক্ষে কাজ করছে এবং একজন পেসার অলরাউন্ডার হিসেবে স্কোয়াডে তার অবস্থান নিশ্চিত হতে পারে। তবে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব তার হাতে তুলে দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
দলের বাকিদের মধ্যে, টপ অর্ডারে থাকতে পারেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা, যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি এবং সূর্যকুমার যাদব। মিডল অর্ডারে থাকবেন ঋষভ পন্ত, হার্দিক পান্ডিয়া এবং রবীন্দ্র জাদেজা। সঞ্জু স্যামসন বা কেএল রাহুলের সঙ্গে শিবম দুবে এবং রিঙ্কু সিং-এর মধ্যে কোনও একজন থাকবেন।
কুলদীপ যাদব স্পেশ্যালিস্ট স্পিনার হিসেবে দলে থাকবেন। অন্য স্পিনারদের মধ্যে রবি বিষ্ণোইয়ের থেকে এগিয়ে রয়েছেন অক্ষর প্যাটেল। তবে আইপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী যুজবেন্দ্র চাহালকে বিবেচনায় আনার সম্ভাবনা কম।
পেসারদের মধ্যে দলে থাকতে পারেন জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ এবং আর্শদীপ সিং। আইপিএলের পারফরম্যান্স অনুযায়ী সন্দীপ শর্মাকে নিয়েও ভাবনাচিন্তা করা হতে পারে।
সন্দীপ রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে বল হাতে মুগ্ধ করেছেন। হয়তো মায়াঙ্ক যাদবদের মতো তাঁর গতি নেই। কিন্তু বৈচিত্র্য রয়েছে তার বলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রত্যাশিত ধীরগতির পিচে সন্দীপের দীরগতির বল কিছুটা হলেও কার্যকরী হতে পারে। চতুর্থ পেসার হিসেবে অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকে দলে রাখা হবে নাকি, শুভমান গিলকে স্পেশ্যালিস্ট ব্যাটার হিসেবে বিবেচনা করা হবে, তা অধিনায়ক রোহিত শর্মার উপর নির্ভর করবে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :