AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আমি খেলা ছাড়লেও মাঠ ছাড়িনি-এলিনা সুলতানা


Ekushey Sangbad
হাবিবুল কবীর(সম্রাট)
০৪:৫৪ পিএম, ১ মে, ২০২৪
আমি খেলা ছাড়লেও মাঠ ছাড়িনি-এলিনা সুলতানা

মেয়েদের ব্যাডমিন্টনে দেশের অন্যতম শীর্ষ তারকা এলিনা সুলতানা। জাতীয় ব্যাডমিন্টনে এককে দু‍‍`বার চ্যাম্পিয়ন তিনি। সামার ওপেন ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে এককে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন। দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন ছয়বার। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন চারবার। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক আসরেও সফলতা আছে এলিনার ঝুড়িতে। এছাড়া ইন্দো-বাংলাদেশ গেমসে এককভাবে ব্রোঞ্জ জিতেছেন।  

খেলার পাশাপাশি পড়াশোনায়ও প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন এলিনা। ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ে স্নাতকোত্তর পাস করেছেন প্রথম শ্রেণি পেয়ে। সব মিলিয়ে এলিনা সুলতানার একান্ত সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- হাবিবুল কবীর (সম্রাট)

ব্যাডমিন্টন খেলা কবে থেকে শুরু করেন?

এলিনা সুলতানা: ২০০২ সালের ১ম রেকেট ধরি এবং ২০০৭ সালে ১ম মালেয়শিয়া তে ট্যুর পাই ন্যাশনাম টিমে। ১ম কোচ আমার খুলনার পলাশ ভাই। আসলে খুলনার প্রত্যেকটি সিনিয়র মেম্বারই আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আসলে যার যে স্ট্রোকটি ভালো ছিল তারা আমাকে সেই স্টোকটি শিখিয়েছেন। কারো ছোট বোন, কারও মেয়ে হিসেবে এভাবে আমাকে আজকের এলিনা তৈরি করেছে।

ব্যাডমিন্টন খেলার সময় কার অবদান বেশি ছিলো?
এলিনা সুলতানা: আসলে ব্যাডমিন্টন খেলার সময় আমার মায়ের অবদান তারপর আমার কোচ উনাদের অবদান ছাড়া আমার এ পর্যায়ে আসা সম্ভব হতো না। মায়ের পাশাপাশি বাবার অবদান অস্বীকার্য করার নয় কারন বাবার ছাড় ছাড়া এ পর্যায়ে আসা সম্ভব হতো না।

খেলা ছেড়ে এখন কিভাবে সময় কাটছে ?
এলিনা সুলতানা: আসলে আমি খেলা ছেড়েছি কিন্তু খেলার মাঠ তো ছাড়িনি৷ আমি লাস্ট ইয়ার থেকে কোচ হিসেবে নিজেকে তৈরি করেছি বাংলাদেশে আমি এক মাত্র মেয়ে যে BWF লেভেল ২ কমপ্লিট করে এসেছি- আলহামদুলিল্লাহ। এর পাশাপাশি আমি এখন ঢাকায় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের শারীরিক শিক্ষার টিচার হিসেবে নিয়োজিত আছি।

খেলা ছেড়ে আপনিতো এখন শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত, নিজেকে এই পেশায় কিভাবে দেখছেন?

এলিনা সুলতানা: আসলে শিক্ষকতা জিনিসটি পুরোটাই ডিফারেন্ট এখানে এসে স্টুডেন্টদের ভালোবাসা এবং আমার কলিগদের সহযোগিতা সবকিছু মিলিয়ে আসলে অন্য রকম পরিবেশ। আসলে আমি তো এই পরিবেশের সাথে পরিচিত না। আমি যেভাবে শিখাতে চাই তারা সে ভাবেই আগ্রহী। ওরাও আমাকে অনেক কোঅপারেট করে।এখানে  আমার যত শিক্ষকরা আর কলিগরা আছে সবাই আমাকে অনেক পছন্দ করে অনেক সাহায্য করে। তারা সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসে।

কিছু দিন পরে তো কোরবানির ঈদ, কোথায় ঈদ করেন, কীভাবে কাটান?
এলিনা সুলতানা: আমি আসলে ২টা ঈদ ২বাড়িতে করি। রোজারঈদটা সাধারনত আমার বাবার বাড়িতে করা হয় আর কোরবানির ঈদটা আমার শ্বশুর বাড়িতে করা হয়। এইবার কোরবানির ঈদ ঢাকাতে করার ইচ্ছা আছে।

ঈদে কী কী খাবার পছন্দ?
এলিনা সুলতানা: ঈদে আসলে মায়ের হাতের সবই পছন্দ। তার হাতের গরুর মাংসের ভুনা, তার হাতের পায়েশ, সেমাই এগুলো আসলে অসাধারণ, এর তুলনা নাই। গরুর মাংস রান্না বেশি পছন্দ। আমি ছোট ছোট করে রেসিপি করে রান্না করি। সবাই আমার হাতের গরুর মাংসটা পছন্দ করে।

ঈদে পরিবার নিয়ে কী প্ল্যান থাকে? 
এলিনা সুলতানা:ঈদের দিন আসলে পরিবার নিয়ে কোনো প্ল্যান থাকে না৷ ঈদের দিন আসলে সবাই ব্যস্ত থাকে। পরিবার নিয়ে বেড়াতে গেলে টোটালি আন কমফোর্ট ফিল করি আর যদি বাবার বাড়িতে খুলনাতে ঈদ করি তখন মোটামুটি ঘোরা হয়। কারণ আত্মীয়স্বজনের বাসায় আর বাইরে যদি কোথাও বেড়ানোর ইচ্ছা থাকে তাহলে আমি মনে করি ঈদের ১-২ দিন পরে বেড়ানোটাই বেস্ট। কারণ আমি মনে করি ঈদের সময় আসলে ভিড় থাকে আর সবাই বেড়াতে যেতে চায়। 

আপনার বাড়ি তো খুলনায়, খুলনায় অনেক খেলোয়াড় আছে ছুটিতে বাড়ি গেলে কি তাদের সাথে দেখা হয়?
এলিনা সুলতানা: হ্যা ছুটিতে বাড়ি গেলে তাদের সাথে দেখা হয় তার ভিতর উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আর্চারির রোমান সানা ওদের বাসা আমাদের বাসা কাছাকাছি এবং ও আমাকে বড় বোনের মত সম্মান করে এবং আমি ওকে ছোট ভাইয়ের মতো জানি। আর আমাদের ব্যাডমিন্টনের প্লেয়াররা আছে তাদের সাথে আমার দেখা হয়৷ উর্মির সাথে দেখা হয়, জাহানারার সাথে আসলে দেখা করার টাইমিং মিলে না। ওর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ হয়। যদি টাইমিং মিলে সেই ক্ষেত্রে দেখা করার পসিবিলিটি থাকে। (২য় পর্ব আসছে)

একুশে সংবাদ/এস কে 

 

Link copied!