আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার। তিনি ধারাবাহিকভাবে মৌসুমের পর মৌসুম পারফরম্যান্স করেছেন বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে। তার নেতৃত্বেই ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আইপিএলে। ওপেনার হিসেবে তো বটেই অধিনায়ক হিসেবেও বেশ সফল তিনি। এর কয়েক মৌসুম পরেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সঙ্গে কোন অজ্ঞাত কারণে ডেভিড ওয়ার্নারের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে।
সেই মৌসুমে তার ব্যাটেও সেই ভাবে রান আসছিল না। আর এরপরেই তাকে অধিনায়কত্ব থেকে তো বটেই দল থেকেও বাদ দেওয়া হয়। সম্পর্ক এতটাই তলানিতে গিয়ে ঠেকে যে ডেভিড ওয়ার্নারকে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্লক করে দেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এই ঘটনায় যে তিনি বেশ আহত হয়েছিলেন তা জানিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ঘটনা যে তাকে অবাক করেছিল তাও জানিয়েছেন তিনি।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে সর্বাধিক রান সংগ্রাহকও ছিলেন তিনি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ৪০০০`র ও বেশি রান করেছেন তিনি। তাদের প্রথম আইপিএলের শিরোপাও তারা জিতেছিল ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বে ২০১৬ সালে। তিন তিনবার অরেঞ্জ ক্যাপও জিতেছেন তিনি। সেই তাকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্লক করেছিল হায়দরাবাদ। ঘটনায় তিনি যে খুব আঘাত পেয়েছিলেন তাও জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনায় তিনি যে বেশ হতাশ তাও জানিয়েছেন তিনি। ২০২৩ সালে ঘটেছিল ঘটনাটি। এই সময়ে ওয়ার্নার হায়দরাবাদ থেকে দিল্লি ক্যাপিটালস দলে চলে গিয়েছিলেন। তিনি তার জাতীয় দলের সতীর্থ ট্র্যাভিস হেডকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন। কারণ ওই বছরেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দল হেডকে তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। কিন্তু শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তিনি দেখেন হায়দরাবাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁকে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের মৌসুম থেকেই হায়দরাবাদ এবং ডেভিড ওয়ার্নারের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। প্রথমে তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হয়। এরপর তাকে দল থেকেই বাদ দেওয়া হয়। অধিনায়কত্বের ভার তুলে দেওয়া হয় কেন উইলিয়ামসনের হাতে। এরপর ২০২২ সালে দিল্লি ক্যাপিটালস দলে যোগ দেন তিনি। ওয়ার্নার নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করে দেখিয়েছেন যে তাকে সানরাইজার্স তরফে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই ক্যাপশনের মধ্যে দিয়ে তার মিশ্র অনুভূতির কথা ব্যক্ত করেন তিনি।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের এক শো`তে বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে ডেভিড ওয়ার্নার জানিয়েছেন, ‘যে কারণে আমি সবথেকে বেশি আঘাত পেয়েছিলাম তা হল আমার সমর্থকদের জন্য। আমার মতে একজন ক্রিকেটারের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে তার সমর্থকদের সঙ্গে। আমার সমর্থক এবং দলের সঙ্গে আমার যে সম্পর্কটা ছিল তা অত্যন্ত ভালো। ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করাটা আমি আমার কাজ বলে মনে করতাম। আমি জানি না কী কারণে আমাকে ব্লক করা হয়েছিল। তবে বিষয়টি আমাকে খুব আঘাত দিয়েছিল। ঘটনাটি আমার কাছে খুব অপ্রত্যাশিত ছিল।’
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :