ইনজুরি টাইমে বায়ার্নের একটি গোল অফসাইডের কারনে বাতিল সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে কোচ থমাস টাচেল বলেছেন, এটা সম্পূর্ণ বিপর্যয়। গতকাল সেমিফাইনালে দ্বিতীয় লেগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়ে জার্মান জায়ান্টরা।
এক গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত হোসেলুর তিন মিনিটের দুই গোলে রিয়ালের জয় নিশ্চিত হয়। স্টপেজ টাইমের ১২ মিনিটে জসুয়া কিমিচের লং পাসে থমাস মুলারের হেডে ডিফেন্ডার মাথিস ডি লিট বল জালে জড়িয়েছিলেন। কিন্তু এই গোলের আগে লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা ওঠালে রিয়ালের খেলোয়াড়রা থেমে যায়। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে রিয়ালের জয় নিশ্চিত হয়।
এই সিদ্ধান্তের পর টাচেল সাইডলাইনে দৌঁড়ে গিয়ে চতুর্থ অফিসিয়ালের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ম্যাচ শেষে ব্রডকাস্টার ডিএজেডএন’এ টাচেল বলেছেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত একবারেই ম্যাচটিকে শেষ করে দিয়েছে। এসময় তিনি আরো বলেন, ‘এ্যাকশনটি শেষ হওয়া পর্যন্ত আমাদের পজিশন গুলো দেখতে হবে। এটাই নিয়ম। বিশেষ করে এই ধরনের প্রতিদ্ব›িদ্বপূর্ণ ম্যাচে একটি ভুল সিদ্ধান্ত অনেক বড় ক্ষতির কারন হতে পারে। তাছাড়া বড় ম্যাচে এ ধরনের সুযোগ খুব কমই আসে। প্রথম ভুলটি করেছে লাইন্সম্যান। দ্বিতীয়টি এসেছে রেফারির কাছ থেকে।’
৫০ বছর বয়সী টাচেল আরেক ব্রডকাস্টার টিএনটিকে বলেছেন, সিদ্ধান্তটি বিশ^াঘাতকতার মত মনে হয়েছিল।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাচেল বলেন রেফারি এজন্য দু:খ প্রকাশ করেছেন কিন্তু এখন আর সেটা মনে করে লাভ কি। সবারই একটি সীমাবদ্ধতা আছে। এজন্য দলের সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রতিটি খেলোয়াড়কেই সবসময় ভুলের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়। তাহলে রেফারিরা কেন এই পর্যায়ে এসে এ ধরনের ভুল করবে। এই ঘটনার পর আর ক্ষমা চেয়ে লাভ কি। সেরা রেফারি হিসেবেই তোমাকে এই ধরনের ম্যাচে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আর আমরাও সেটা শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশা করবো। এই প্রত্যাশার অধিকার আমাদের আছে।’
বাতিল হওয়া গোলের গোলদাতা ডি লিটও কোচের সাথে একমত পোষন করে বলেছেন, ঐ সিদ্ধান্তই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, ‘এই সিদ্ধান্তে আমি হতবাক হয়ে গেছি। আমি কোনভাবেই বুঝতে পারছিনা রেফারি কেন এ্যাকশনটি শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলো না। সে ভুল স্বীকার করেছে। আমি এটা বলবো না রিয়াল সব সময়ই ভাগ্যবান। কিন্তু এ ধরনের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া যায়না।’
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :