রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের শেষ ভাগে নিজের মারাত্মক ভুলকে অত্যন্ত তিক্ত অভিজ্ঞতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বায়ার্ন মিউনিখের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার। কার্যত নয়্যারের ভুলে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে বেভারিয়ান্সরা।
ম্যাচ শেষ হওয়ার দুই মিনিট বাকি থাকতে বায়ার্ন ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। ৬৮ মিনিটে আলফোনসো ডেভিসের গোলে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেমিফাইনালে দ্বিতীয় লেগে সফরকারী বায়ার্ন এগিয়ে যায়। কানাডিয়ার ডিফেন্ডার ডেভিসের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটাই প্রথম গোল। অনেকেই ধরে নিয়েছিল ওয়েম্বলির ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে বায়ার্নকেই দেখা যাবে।
কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের শট নয়্যার ধরতে গিয়ে তা হাত ফসকে বের হয়ে যায়, এই সুযোগে পোস্টের খুব কাছে থেকে বল জালে জড়িয়ে রিয়ালকে সমতায় ফেরান হোসেলু। অথচ পুরো ম্যাচে বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত সেভ করে নয়্যার বায়ার্নকে রক্ষা করেছেন।
তিন মিনিট পর হোসেলু আবারো গোল করে রিয়ালকে ২-১ গোলের লিড এনে দেন।
ম্যাচ শেষে ৩৮ বছর বয়সী নয়্যার বলেছেন, ‘এটা সত্যিই আমার জন্য তিক্ত এক অভিজ্ঞতা। আমি মনে করেছিলাম বলটি ভিন্নভাবে আমার বুকের কাছে এসে পড়বে। যে কারনে আমি কিছুটা উঁচুতে উঠে বলটি ধরতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বলের গতি ভিন্ন হওয়াতে আমার হাত থেকে ফসকে যায়। সেই সুযোগে হোসেলু যে শটটি নিয়েছে তা ধরা আমার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছিল। একজন গোলরক্ষকের জন্য পুরো ম্যাচে দলকে রক্ষা করে শেষ মুহূর্তে এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়ে তা বলে বোঝানো মোটেই সহজ নয়। যাই হোক না কেন গোলটি আমার ভুলেই হয়েছে।’
বায়ার্ন কোচ থমাস টাচেল বলেছেন অধিনায়কের এই ধরনের ভুল তার চরিত্রের সাথে যায়না, ‘নয়্যার দুর্দান্ত খেলেছে। কিন্তু যে ভুল সে করেছে তা ১০০ বছরেও তার পক্ষে আবারো করা সম্ভব না। এটা সত্যিই হতাশার। আমরা সবাই তাকে চিনি, তার মত গোলরক্ষকের এই ধরনের ভুল করার কথা না।’
পায়ের হাড়ে চিড় ধরার পর প্রায় এক বছর পর খেলায় ফিরেছেন নয়্যার। ২০১৪ বিশ^কাপ জয়ী এই তারকা গোলরক্ষককে নিয়ে ঘরের মাঠে আসন্ন ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপে জার্মানরা বেশ আশাবাদী।
গতকাল এই পরাজয়ের পর ২০১২ সালের পর এই প্রথম বায়ার্ন কোন শিরোপা ছাড়াই মৌসুম শেষ করতে যাচ্ছে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :