গত বছর আর্জেন্টাইন ক্লাব সোল দা মায়োতে পাড়ি জমিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। দেড় বছরের চুক্তি করলেও সাত মাসের বেশি খেলতে পারেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক। চার ম্যাচ খেলে দুটি গোলও করেছিলেন জামাল।তবে কোনো বেতন না পাওয়ায় চুক্তি ভঙ্গ করে ক্লাব ছেড়ে চলে আসেন জামাল। এরপরই ফিফার কাছে বকেয়া বেতন চেয়ে আবেদন করে নিজের পক্ষে রায় পেয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক।
জামালে সেই আবেদনের বিপরীতে একদিন আগেই ফিফার ফুটবল ট্রাইব্যুনাল থেকে বড় পরিসরে রায় এসেছে। ব্রাজিলিয়ান আন্দ্রে দোস সান্তোস মেগালের বিচারক সোল দা মায়োকে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৮০ ডলার জামালের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যা বাংলাদেশের ১ কোটি ৯০ লাখ ২৯৮০ টাকার সমান।
এমন রায় পেয়ে খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, ‘আমি অনেক আশা নিয়ে আর্জেন্টিনার সোল দা মায়াতো খেলতে গিয়েছিলাম। ছিলামও অনেক দিন। কিন্তু ওরা আমাকে কোনো টাকা পয়সা দেয়নি। তাই চুক্তির মাঝপথে সেটি ছিন্ন করে চলে আসতে হয়েছিল। এসেই ফিফার কাছে অভিযোগ করি। এখন রায় পেয়ে আমি অনেক খুশি।’
মোট টাকার মধ্যে সাত মাসের বেতন ১২ হাজার ডলার করে। সঙ্গে ৫ শতাংশ ইন্টারেস্ট; যা দাঁড়ায় ৭৪ হাজার ৭৮০ ডলারের মতো। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে সোল দা মায়ো ক্লাবকে এই অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে জামাল ভূঁইয়া খেলছেন আবাহনী লিমিটেডে। লিগের বিরতিতে যোগ দিয়েছেন। দেশের বাইরে আর্জেন্টিনায় খেলার আগে ভারতে পশ্চিমবঙ্গের মোহামেডানে খেলার অভিজ্ঞতা আছে জাতীয় দলের এই অধিনায়কের।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :