আইপিএলের ইতিহাসে শততম সেঞ্চুরিটি হয়েছে শুক্রবার। গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক শুভমন গিলের সেঞ্চুরির হাত ধরেই আইপিএলের শততম সেঞ্চুরি হয়েছে। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচে ৫০ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান শুভমন। এটি টাইটান্স অধিনায়কের আইপিএলে নিজের চতুর্থ শতরান।
২০০ স্ট্রাইকরেটে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর, শুভমন গিলকে আগ্রাসী মেজাজে সেলিব্রেশন করতে দেখা যায়। হেলমুট খুলে হাত ছুড়ে লাফিয়ে ওঠেন তিনি। তার পর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে মুখে সম্ভবত কোনও খারাপ শব্দও ব্যবহার করেছিলেন, যেটা শোনা যায়নি। শুভমনের এই আগ্রাসী মেজাজ সম্ভবত তাঁর বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের দল থেকে বাদ পড়ার জ্বালা।
বিশ্বকাপের রিজার্ভ দলে রাখা হয়েছে শুভমনকে। তবে প্রধান দল থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। এ দিন ২০০ স্ট্রাইক রেট রেখে শতরানের ইনিংস খেলে সম্ভবত তারই জবাব দিলেন গুজরাট অধিনায়ক। অনেকটা দেখিয়ে দিলাম মানসিকতা দেখা গিয়েছে তাঁর সেলিব্রেশনের মধ্যে। হয়তো নির্বাচকদের উদ্দেশ্যে এভাবেই জবাব দিলেন শুভমন।
আইপিএলে প্লে-অফে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য জিততেই হত গুজরাট টাইটান্সকে। এই পরিস্থিতিতে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নামে গুজরাট। আর দলের দুই ওপেনার শুভমন এবং সাই সুদর্শনের জোড়া শতরানের ভর করে ২৩১ রান করে টাইটান্স। প্রথমে সেঞ্চুরি হাঁকান টাইটান্স অধিনায়কই। আর এটাই আইপিএলের ইতিহাসে ১০০তম সেঞ্চুরি। অর্থাৎ আগে আরও ৯৯টি শতরানের ইনিংস দেখেছে আইপিএল। পরে সাই সুদর্শনও তাঁর খেলা ৫০তম বলে ছয় মেরে শতরান পূর্ণ করেন। এটি আইপিএলের ১০১তম সেঞ্চুরি।
সাতটি ছয়, পাঁচটি চারের হাত ধরে ৫১ বলে ১০৩ করেন সাই সুদর্শন। ৫৫ বলে ১০৪ করেন শুভমন। হাঁকান হাফডজন ছক্কা এবং ৯টি চার। ৩ উইকেট হারিয়ে গুজরাট ২৩১ করলে, জবাবে চেন্নাই নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৬ রানই করতে পারে। ৩৫ রানে গুজরাট টাইটান্স ম্যাচটি জিতে যায়।
চেন্নাইকে হারিয়ে ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের লাস্টবয় থেকে আট নম্বরে উঠে এসেছে গুজরাট টাইটান্স। জিইয়ে রেখেছে শেষ চারের আশা। অন্যদিকে হারলেও, এখনও প্লে অফে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংসের। তবে তাদের অঙ্কটা মারাত্মক জটিল হয়ে গিয়েছে। সিএসকে-র ১২ ম্যাচে বর্তমানে ১২ পয়েন্ট। তারা পয়েন্ট টেবলের চারেই রয়েছে। তবে প্লে-অফে ওঠার সমীকরণ মারাত্মক কঠিন হয়ে গিয়েছে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :